কালোজাদুর কারনে ডিভোর্সের মাত্রা বেড়ে গেছে !

আশিক (লাভার) জ্বিনের আছরের লক্ষণ!
July 28, 2021
যাদুকরের হাজিরা দেখা, আপনাদের বিভ্রান্তি!
July 29, 2021
আশিক (লাভার) জ্বিনের আছরের লক্ষণ!
July 28, 2021
যাদুকরের হাজিরা দেখা, আপনাদের বিভ্রান্তি!
July 29, 2021

কালোজাদুর কারনে ডিভোর্সের মাত্রা বেড়ে গেছে !

সমাজবিজ্ঞানীরা অনেক মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এতটা বাড়ার কারণ কি হতে পারে ?
অথচ একটা জিনিসকে সবাই উপেক্ষা করে গিয়েছে যেটা হলো ব্ল্যাক ম্যাজিক বা সিহর।
অবশ্য আমাদের দেশের মুসলিম সমাজের সিংহভাগই এটাকে হেসে খেলে উড়িয়ে দেয়।
সিহরের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটানো হয়ে থাকে। বলতে পারেন সিহরের অনেকগুলো পার্টের একটি পার্ট।
সকল বিবাহিত ও অবিবাহিতরা সূরা বাক্বারার ১০২ নং আয়াতকে মাথায় স্টোর করে রাখেন,
“ইহুদীরা (তওরাত অনুসরণের পরিবর্তে) সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তান যা আবৃত্তি করতো তার অনুসরণ করতো।
অথচ সুলায়মান কখনো যাদু করেনি এবং সত্য প্রত্যাখ্যান করেনি।
কিন্তু শয়তান মানুষকে যাদু শিক্ষা দিতো এবং কাফের হয়ে গিয়েছিল।ইহুদিরা বাবেল শহরের দুই ফেরেশতা হারুত ও মারুতের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছিল তা অনুসরণ করত।
‘আমরা তোমাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ-সুতরাং যাদুকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে কাফের হইও না’-এ কথা না বলে ওই দুই ফেরেশতা কাউকে কিছু শিক্ষা দিত না।
কিন্তু তারা ওই দুই ফেরেশতা থেকে শুধু এমন কিছু শিখত যা দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায়। অথচ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কারো ক্ষতি করতে পারে না।
তারা শুধু ওই সব অংশই শিখত যা ছিল তাদের জন্য ক্ষতিকর এবং তাদের জন্য কোন ধরনের উপকারী ছিল না। আর তারা নিশ্চয়ই জানত, যে এ পণ্য ক্রয় করবে পরকালে তার কোন মুনাফা পাবে না।
যে জিনিসের বদলে তারা নিজেদের বিক্রি করল তা বড়ই নিকৃষ্ট, যদি তারা জানত ৷”
স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের জাদুর প্রচলন শুরু হয় সুলাইমান ( আঃ) এর যুগ থেকে । আল্লাহর নির্দেশে বাবেল শহরে একবার হারুত ও মারুত নামে দুই ফেরেশতার আগমন ঘটে।
মানুষরূপী এ দুই ফেরেশতার কাজ ছিল মানুষকে যাদু-তন্ত্রের প্রভাব নস্যাৎ করার উপায় বাতলে দেয়া।
এ দুই ফেরেশতা একইসঙ্গে মানুষকে সতর্ক করে দিতো যাতে কেউ যাদু বিদ্যার অপব্যবহার করে নিজেদের বস্তুগত স্বার্থ হাসিল না করে।
কিন্তু ইহুদীরা ওই দুই উপায়ে জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্র শিখে এর মাধ্যমে নিজেদের অন্যায় স্বার্থ পূরণ করতো বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটাতো।
যদিও তারা জানতো যে, যাদুর কাজ কুফরীর শামিল এবং এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার ও সমাজ।
রাসূল (সাঃ) বলেন,
” শয়তান তার সিংহাসনটি পানির উপরে রাখে। অতঃপর মানুষকে বিপথে চালানোর জন্য তার সেনাবাহিনীকে প্রেরণ করে।
তার নিকট সেই সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয় যে বেশি হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে পারে। তারপরে তার ফিরে এসে নিজেদের জঘন্য কার্যাবলি পেশ করতে থাকে।
কেউ তাকে বলতে থাকে, আজকে অমুককে পথভ্রষ্ট করিয়েছি। কেউ আবার বলে, আজকে অমুককে এই পাপকাজ করিয়েছি।
শয়তান তাদের প্রতিউত্তরে বলে, এ তো সাধারণ কাজ। তোমরা কিছুই করো নি।
অবশেষে বলে উঠে যে, আমি আজকে একজন ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া লাগিয়েছি এবং শেষপর্যন্ত থেকে তাদের ডিভোর্স করিয়েছি।
শয়তান তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে যে, তুমি সঠিকটি কাজটি করেছো।”
( সহীহ মুসলিম, ২১৬৭)
যাদুকর ঠিক একই কাজ করে, যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের সৃষ্টি হয়।
যেমন, কোন ব্যক্তির কাছে তার স্ত্রীর আকৃতি খারাপ মনে হবে, তার স্বভাব চরিত্রকে ঘৃণা করবে, অন্তরে শত্রুতা ভাব জেগে যাবে।
এইভাবে আস্তে আস্তে এইগুলো বাড়তে থাকবে এবং একসময় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে যাবে।
এই ন্যক্করজনক কাজগুলো সাধারণত করে থাকে নিকটাত্মীয় বা কোন কাছের বন্ধু বান্ধব।
( নিচের ছবিটি এক কাপলকে বিচ্ছেদ ঘটানোর প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৪ সালে সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলের এক জাদুকরের আস্তানা থেকে তোলা।
পরে সৌদি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ) Copy Post
পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করুন।