আঈন-হাসাদ-সিহরের কারনে চুল পড়ার ক্বুরআনি চিকিৎসাঃ
November 14, 2025গন্ধ/সুঘ্রাণ/ ধোঁয়ার মাধ্যমে করা যাদু ধংসের রুকইয়াহঃ
November 19, 2025সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
আমাদের দেশে এখন অবধি যতো গুলো ডিভোর্স হয়েছে এর মাঝে অন্তত ৩০% ডিভোর্সের পিছনে আশিক জ্বীন রয়েছে বলে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আশিক জ্বীনের বিষয়ে সিরিয়াস না হলে জীবন একদম তেজপাতা বানিয়ে ছাড়ে। যে আপনার সংসার ভেঙে ফেলতে এতোটা দৃঢ় থাকে আপনার বাকি জীবন আনন্দে পার করবেন এটা ভাবনায় আসা মারাত্মক ভুল।
একজন বিচ্ছেদের যাদুতে আক্রান্ত দম্পতির যা যা সমস্যা হতে পারে একজন আশিক জ্বীনের পেশেন্টের সেই একই সমস্যা হতে পারে।
একজন বাচ্চা বন্ধের যাদুর পেশেন্টের যেই সমস্যা গুলো ফেইস করতে পারে আশিক জ্বীনের পেশেন্টও একই সমস্যায় ভোগতে পারে।
একজন সবার সাথে পরিবারের সাথে সম্পর্ক নষ্টের যাদুর কারনে যা যা সমস্যা হতে পারে একজন আশিক জ্বীনের পেশেন্টেরও হুবহু একই রকম সমস্যায় পড়তে পারে।
একজন সবকিছুতে বাধার যাদুর কারনে জীবনে যা যা বাধার সম্মুখীন হতে পারে একজন আশিক জ্বীনে আক্রান্ত ব্যক্তি সেই রকমই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
নৈতিক অবক্ষয় আরো রয়েছে বাকি গুলো না বলি আশা করি এতোটুকুতে যা বুঝার বুঝতে পেরেছেন আর কি কি সমস্যা হতে পারে।
আশিক জ্বীন রোগীকে একাকিত্ব করে রাখতে পছন্দ করে। কোনো কোনো আশিক জ্বীনের পেশেন্ট দেখবেন বিয়ে পছন্দ করে না। তার নাকি বিয়ে ভালো লাগে না। বিয়ে করতে না চাওয়ার পিছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। এটার মূল কারন আশিক শয়তান। যদিও বিয়ে বন্ধের যাদুর পেশেন্টরও এরকম হয়।
যেসকল আশিক জ্বীনের পেশেন্ট বিবাহিত তারা কেউ কেউ দেখবেন নিজের সন্তানকে বেধড়ক মারে। এর পিছনে কাহিনীটা বলি। শয়তান নিজেই আঈন হাসাদ দিয়ে তার বাচ্চাকে এমন দুষ্টুমি করায় যে পেশেন্টের মেজাজ বিগড়ে যায়। আর যখনই মেজাজ বিগড়ে যায় তখনই শয়তান পেশেন্টেকে কন্ট্রোলে নেয়। নেওয়ার পর ইচ্ছা মতো বাচ্চাটাকে পিটাতে থাকে। তারপর যখন কন্ট্রোল ছেড়ে দেয় তখন রোগীর হুশ ফিরে আসে এবং আফসোস করতে থাকে যে আমি কি করলাম এসব! আমারই বাচ্চাকে আমি এতো মারা মারলাম! নিজেই মনের কষ্টে ভুগতে থাকে।
কারন কি জানেন? আশিক জ্বীন শয়তান চায় রোগীকে একাকি করে রাখতে। সবার থেকে একাকি করে রাখতে এবং ধীরে ধীরে জাহান্নামের বাসিন্দা বানাতে। বুঝতে পেরেছেন?
যার ঈমান আমল আগে থেকে ভালো থাকে তাদেরকে যে রকম পরিকল্পনা করে সেরকম পারে না তবে ক্ষতি তো হয় জীবনে।
আপনাকে প্রথমে আশিক জীন ভেবে হিসাব করলে হবে না। মূলে যেতে হবে। ঠিক কোন কারনে শরীরে সে আসছে মূল থেকে রুক্বইয়া শুরু করাতে হবে। বেশিরভাগই তো আসে যাদুর কারনে কিংবা আঈন হাসাদের কারনে। অন্য কারনেও আসে।
আশিক জ্বীনের পেশেন্টদের দেখছি তাদের মাঝে গাফলতি বেশি থাকে। মানে রুকইয়া না করার অজুহাত তৈরী করে রাখে শয়তান।
অতএব এটা কোনো সাধারণ বিষয় না। আপনি যদি সেরকম পেশেন্ট হয়ে থাকেন ভালো অভিজ্ঞ দক্ষ রাকীর অধীনে রুক্বইয়া করে তার তত্বাবধানে থাকুন। এরকম কতো পেশেন্ট আছে যারা আশিক জ্বীনের রোগী, ডিভোর্স হয়ে জীবন একদম এলোমেলো হয়ে আছে। এজন্য সমস্যা ধরা পড়ার সাথে সাথে তৎপর হোন নতুবা বিশ্বাস করেন বা নাই করেন একদিন দেখবেন আপনি ঘরে একদম একা এবং আপনার জীবন শূন্য! নেই স্বামী নেই সন্তান নেই কেউ! ঈমান আমলেরও অবস্থা দেখবেন নিভু নিভু!
কাউকে ভয় পাওয়ানো উদ্দেশ্য নয়। এটি একটি অপ্রিয় বাস্তবতা। সিরিয়াস হোন। শুরু থেকে সিরিয়াস হলে বিষয়টা অন্য পেশেন্টের মতোই স্বাভাবিক থাকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসা যায়। আর সিরিয়াস না হলে হারিয়ে যেতে হয় জীবনের পাতা থেকে!
✅ রুক্বইয়া হিজামা বিষয়ে কিছু জানতে বা এপয়েনেটমেন্ট নিতে যোগাযোগ করতে পারেন
📱01763-951-371 WhatsApp
📱 01833-406-632
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য, একমাত্র তিনি ছাড়া কোনো ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য কেউই বা কোনো কিছুই নেই।
