
সমাজে মহামারীর আকারে পাঁচটি রোগ
May 9, 2025
যাদুগ্রস্ত পরিবারের, সকল সদস্যের চিকিৎসা
May 22, 2025
স্বপ্ন দেখে আমরা বিচলিত হই, পেরেশান হই, দুশ্চিন্তা করি। স্বপ্নের ব্যাখা জানার জন্য আমাদের কৌতুহলের শেষ নেই।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নুবুওয়াতের কোন চিহ্ন এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে শুধু সুসংবাদ বহনকারী রয়ে গেছে। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, সুসংবাদ বহনকারী কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ভালো স্বপ্ন।
সহীহ : বুখারী ৬৯৯০,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির স্বপ্ন হলো নাবূওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
স্বপ্ন তিন প্রকার হয়ে থাকে
১। আল্লাহর পক্ষ হতে
২। শয়তানের পক্ষ হতে
৩। সারাদিনের কল্পনার মাধ্যমে
১।আল্লাহর পক্ষ হতে :
ভালো স্বপ্ন আল্লাহর কাছ থেকে সুসংবাদ। নবী করিম (সাঃ) বনেল “তোমাদের কেউ যদি এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে, তাহলে জানবে যে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে। তখন সে যেন আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করে ও অন্যদের কাছে বর্ণনা করে।
তবে ভালো স্বপ্ন দেখলে এমন ব্যক্তির কাছে বলা যাবে, যে তাকে ভালোবাসে। যে ভালোবাসে না, এমন ব্যক্তির কাছে কোনো স্বপ্নের কথা বলা যাবে না। হতে পারে সে ভালো স্বপ্নের খারাপ ব্যাখ্যা দাঁড় করলে তা ব্যক্তির জন্য কষ্টের কারণ হতে পারে।
২। শয়তানের পক্ষ হতে :
আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ مِنَ اللَّهِ، وَالحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَمَنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفِثْ عَنْ شِمَالِهِ ثَلاَثًا وَلْيَتَعَوَّذْ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ »
“সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। কেউ স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে বাম পাশে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে আর শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। (এভাবে বলবে, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম) তাহলে এ স্বপ্ন তাকে ক্ষতি করতে পারবে না”।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৯৯৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬১
স্বপ্ন দেখা ব্যক্তি সাধ্য অনুযায়ী দান, সদকা করবে স্বপ্নের ক্ষতি থেকে বাঁচা জন্য।
৩। সারাদিনের কল্পনার মাধ্যমে :
সারাদিনের কল্পনা থেকে যে স্বপ্ন উদ্ভুত হয় তাঁকে বলা হয় হাদিসুন নাফস। মানুষ সারাদিনে যে বিষয় নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করে, কল্পনা করে সেই বিষয় গুলো পরবর্তীতে স্বপ্নে দেখে। এই স্বপ্ন গুলোর কোন অর্থ নেই।






