এস্তেখারা দেখা কি শরীয়ত সম্মত?

বিবাহ হয়েছে ১৪ বছর কিন্তুু সন্তান হচ্ছে না
August 15, 2024
নিজের ভালো বিষয়গুলি মানুষের কাছে সহজে প্রকাশ করবেন না
August 15, 2024
বিবাহ হয়েছে ১৪ বছর কিন্তুু সন্তান হচ্ছে না
August 15, 2024
নিজের ভালো বিষয়গুলি মানুষের কাছে সহজে প্রকাশ করবেন না
August 15, 2024

এস্তেখারা দেখা কি শরীয়ত সম্মত?

এস্তেখারা দেখা কি শরীয়ত সম্মত?
.
তান্ত্রিক বা জ্বীন হুজুর বলে আমরা এস্তেখারা করে জানচ্ছি আপনার সমস্যা। তার জন্য রোগীর নাম, মার নাম,বাবার নাম,বয়স -জন্ম তারিখ,স্থানের নাম দিন। এরা মূলত কবিরাজ। এরা জ্বীন দ্বারা তথ্য সংগ্রহ করে। যা শরিয়তসম্মত নয়। এস্তেখারা হলো আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে পরামর্শ করা। এস্তেখারা নিয়ম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য দিয়ে গিয়েছেন।
.
একজন ব্যক্তি তখনি এস্তেখারা করবে, যখন এ বিষয়টি নিজের জন্য কি উত্তম হবে,কি হবে না। এ কাজটি করলে আমার জন্য উত্তম হবে কি হবে না। আমার জন্য এই বিবাহের প্রস্তাবটি উত্তম হবে কি হবে না। আমার জন্য এই ব্যবসাটি উত্তম হবে কি হবে না। এমন সব বিষয়ে যখন একজন ব্যক্তি দ্বিধাদ্বন্ধে থাকে তখনি সে এস্তেখারা করবেন। এস্তেখারা করার নিয়ম হচ্ছে দুই রাকাত নফল সলাত আদায় করার পরে এস্তেখারা নির্দিষ্ট দোয়া পড়বেন। দোয়ার দুইটি অংশ দেওয়া আছে। আর নির্দিষ্ট অংশে কাংখিত বিষয়টি বলতে হবে। এভাবে এস্তাখারা করতে হয়।
.
যেটা শরীয়ত সম্মত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য দেয়া হয়েছে। এস্তেখারা নিজস্ব আমল যেটা নফল সলাতের মাধ্যমে করতে হয়।এই সলাত একাধিকবার পড়া যায় একটি বিষয়ে যদি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত না আসে। এস্তেখারার ফলাফল দুইভাবে ব্যক্তি পায় এক স্বপ্ন যোগে দ্বিতীয়ত হচ্ছে ওই বিষয়টার জন্য যদি তার জন্য মঙ্গল হয় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ সেই বিষয়টা তার জন্য সহজ করে দেন এবং সে কাজটা তিনি দ্রুত সম্পন্ন করতে পারেন। আর যদিও সেই বিষয়টি ব্যক্তির জন্য ক্ষতির কারণ হয় তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই সেই কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেন। কিংবা স্বপ্নযোগে সে বিষয়ে আল্লাহ ইঙ্গিত দান করেন।
.
এস্তেখারার দোয়া: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ ، وَأَسْتَعِينُكَ بِقُدْرَتِكَ ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلا أَقْدِرُ ، وَتَعْلَمُ وَلا أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلامُ الْغُيُوبِ ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ () خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي وَعَاجِلِهِ وَآجِلِهِ ، فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ() شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي وَعَاجِلِهِ وَآجِلِهِ فَاصْرِفْهُ عَنِّي ، وَاصْرِفْنِي عَنْهُ ، وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ، ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ আরও পড়ুন: অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে ইসলাম কী বলে অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের সাথে মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের সাথে শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি এই ( ) কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে ভালো জান, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। তাতে আমার জন্য বরকত দান কর।
.
আর যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য আমার দীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে মন্দ জান, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও। প্রথমে (هَذَا الأَمْرَ) ‘হা-জাল আমরা এর স্থলে বা পরে কাজের নাম নিতে হবে অথবা মনে মনে সেই বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করতে হবে। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে বুঝার তৌফিক দান করুন আমিন।

Show less