কখন একজন জ্বিন এবং যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরাসরি রুকইয়াহ সেশন গ্রহণ করতে হয়

কখন একজন জ্বিন এবং যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরাসরি রুকইয়াহ সেশন গ্রহণ করতে হয় ?

🔘নিম্নের চারটি অবস্থা বিদ্যমান থাকলে সেই রোগীকে সরাসরি রুকইয়াহ সেশন নিতে হবে। চলুন অবস্থা গুলো সম্পর্কে জানি।

▪️১।যদি কোন রোগীর শুধুমাত্র রকইয়াহ অডিও শুনলেই বা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বা আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম শুনলেই জিন উঠে যায়। জিন উঠার পর পরিবারের লোকদের মারে, ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে, চিৎকার চেঁচামেচি করে, ঘরের মানুষদের গালমন্দ করে অর্থাৎ কোনভাবেই রোগীকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এমন সমস্যা যদি কোন রোগীর হয়ে থাকে তবে তাঁকে রাক্বির কাছে গিয়ে সরাসরি রুকইয়াহ করতে হবে ▪️

২। কোন ব্যক্তি রুইকয়াহ করার নিয়তে রুকইয়াহ অডিও শুনতে নিলে ৫ থেকে ১০ মিনিটে বেশি শুনতে পারছেন না বা রুকইয়াহ করার নিয়তে কোরআন তেলাওয়াত করছেন কিন্তু ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি তেলাওয়াত করতে পারছেন না। যদি পাঁচ থেকে দশ মিনিটের বেশি কোরআন তেলাওয়াত বা রুকইয়াহ অডিও শুনেন তাহলে ব্যক্তির মনে হচ্ছে উনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি যেন মারা যাবেন। বা রুকইয়াহ নিয়ত অডিও,কোরআন তেলোয়াত শুনতে গিয়ে ব্যক্তি বেহুশ হয়ে যাচ্ছেন এ অবস্থায় একজন ব্যক্তিকে সরাসরি রুকইয়াহ সেশন গ্রহণ করতে হবে।

▪️৩। একজন ব্যক্তির প্যারানরমাল সমস্যা বা জিন গ্রস্ত তিনি নিজে ১০০% জানেন কিংবা তারমধ্যে প্যারানরমাল সমস্যার সকল লক্ষণ বিদ্যমান, কিন্তু তিনি রুকইয়াহ অডিও বা কোরআন তেলাওয়াত নিয়ত করার পরও কিংবা সব ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার পরও রুকইয়াহ কোনরকমের প্রভাব তার শরীরে পরেনা তাহলে ব্যক্তিকে সরাসরি রুকইয়াহ সেশন গ্রহণ করা জরুরী। ▪️

৪। কোন ব্যক্তি অত্যাধিক পরিমাণে মারাত্মক জাদুতে আক্রান্ত। অর্থাৎ উদাহরণ স্বরূপ তিনি খাওয়ানো এবং পান করানো জাদুর মাধ্যমে আক্রান্ত।এখন সেই জাদু বের করার জন্য তাকে বমি করতে হবে।

🔲কিন্তু বমি করার সময় তার ভীষণ কষ্ট হয় অর্থাৎ তার মনে হয় তার শরীরের হাড় গুলো একসাথে ভেঙ্গে যাচ্ছে, কলিজার ছিড়ে বের হয়ে যাচ্ছে এবং মনে হয় বুকটাই তার উল্টে বের হয়ে আসছে। অর্থাৎ তিনি বমির কষ্ট কষ্টটা নিতে পারছেন না, এমন অবস্থায় তাঁকে সরাসরি রুকইয়াহ সেশন গ্রহণ করা উচিত।