আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলবেঃ
بِسْمِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
‘‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আ’লাল্লাহ, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’
অর্থ :: আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।
তখন তাকে বলা হয় ফেরেশতাদের পক্ষ্য থেকে যে, তুমি হেদায়াত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো। সুতরাং শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে।
হাদীসের মান – সহীহ
হাদিস নং ৫০৯৫ 📚 আবু দাউদ
🚪 শুধুমাত্র 🏠 বাসা/বাড়ি থেকে বের হওয়ার দো’আ না পড়ার কারনে জ্বীন শরীরে প্রবেশ করেছে এমন ঘটনা ঘটেছে/ঘটছে এই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। কিছু উদাহরণ বলি ::
🚪 যেমন ১ম উদাহরণ – ধরুন আপনার ছোট সন্তানকে নিয়ে আপনি বাহিরে বিকেল বেলা বের হয়েছেন। আপনারা একটু বড় গাছপালা আছে একটু নির্জন এলাকা এমন জায়গায় গিয়েছেন। মাগরিবের সময় হয়ে গিয়েছে এবং আপনারা সেইসব জায়গা পার হয়ে আসছেন ঠিক তখন আপনার বাচ্চা জ্বীন শয়তানের আক্রমনের শিকার হলো । বাসায় এসে জ্বর হলো পরে….…
🚪🚪২য় উদাহরণ :: একটু নির্জনে আড়ালে গ্রামে পেশাব করতে বসছেন। আপনার অজান্তে আপনি জ্বীন শয়তানের গায়ের উপর….তো সেই থেকে হয়ে গেলো জ্বীনের আছর।
🚪🚪🚪৩য় উদাহরণ :: ধরুন আপনি আপনার মাঝে ভালো কোনো গুণ/বৈশিষ্ট্য আছে (তবে আপনি সকাল বিকেলের দো’আ পড়েন না), যেটা আপনি বাহিরে যাওয়ার পর মানুষের কাছে প্রকাশ পেলো এবং সেখান থেকে কিছু মানুষের হিংসা লাগলো সেই হিংসার অবশেষ ফলাফল আপনি জ্বীন শয়তানে আক্রান্ত হলেন!
একবার 🇸🇦 সৌদি আরবের এক মহিলা জ্বীন শয়তান দ্বারা আক্রান্ত হয়। পরে উনাকে রুকইয়ার জন্য শায়েখ বিন বাজ (রাহিমাহুল্লাহ) এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। রুকইয়ার এক পর্যায়ে শয়তানটি ভর করে বলে যে আমার সন্তানদেরকে বাথরুমে এই মহিলাটি কষ্ট দিয়েছে গরম পানি ভেসিনে তাদের উপর ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে। সেজন্য আমি তাকে আছর করেছি। যখন বলা হলো যে মহিলাটি কিভাবে জানবেন তোমার সন্তানরা কোথায় আছে?? মানুষ তো জ্বীন শয়তানকে দেখতে পায় না। তখন শয়তানটি বললো তোমরা যখন বিসমিল্লাহ বলার পর (বাথরুমে ঢুকার দোয়া) ঢুকো তখন আমরা সচেতন হয়ে যাই। ছুবহানাল্লাহ❕
তো এভাবে আমরা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছাল্লাম এর শিখানো দো’আ গুলো যদি আমল করি তার সুন্নাহকে ফলো করি জীবনটা হবে বরকতময় উজ্জল, আলোকময় এবং নিরাপদ ইন শা আল্লাহ।