বাড়িতে জিনের সমস্যা!
October 20, 2024
পূজা চলাকালীন অবস্থায় জ্বীন -যাদুগ্রস্ত রোগীদের করনীয় কি?
October 20, 2024
বাড়িতে জিনের সমস্যা!
October 20, 2024
পূজা চলাকালীন অবস্থায় জ্বীন -যাদুগ্রস্ত রোগীদের করনীয় কি?
October 20, 2024

জিন শয়তান টাকা পয়সা চুরি করলে করণীয়!

জিন শয়তান টাকা পয়সা চুরি করলে করণীয়!

প্রথম কথা হল, জিনের সমস্যার জন্য বাড়ি থেকে টাকা কিংবা জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া কি সম্ভব? উত্তর হচ্ছে – হ্যাঁ, সম্ভব। জিনরা কোনও হালকা বা ভারি জিনিস এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে পারে, কিছু চুরি করতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।

বিশুদ্ধ হাদিসে এবং কোরআনেও এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।তবে কোনও কিছু হারালেই জিনের ঘাড়ে চাপানো উচিত হবে না। আগে ভালোভাবে চারপাশে খুঁজে দেখা দরকার, বাহ্যিক সতর্কতা বা নিরাপত্তা মজবুত করা দরকার। এরপরেও নিয়মিত হতে থাকলে তখন অন্য কিছু ভাবা যাবে।

আরেকটি বিষয় হলো, অনেকে টাকা পয়সা হারালে কিংবা কিছু চুরি হলে গণক-কবিরাজের কাছে যায়, গিয়ে জিজ্ঞেস করে জিনিসগুলো কোথায় আছে। এরকম কাজ কখনওই করা যাবে না। জাদু বা জ্যোতিষবিদ্যা চর্চারকারীদের কথা বিশ্বাস করলে ঈমানের ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে হাদিস খুব স্পষ্ট সতর্কবার্তা আছে।

[খ]এধরনের ঘটনা কখন দেখা যায়?

১. কোনো বাড়িতে জিনের সমস্যা আছে, বিভিন্নভাবে বাড়ির বাসিন্দাদের বিরক্ত করে, সেখানে এরকম জিনিস হারিয়ে যাওয়া কিংবা এক জায়গার জিনিস অস্বাভাবিকভাবে অন্য জায়গায় দেখা যেতে পারে।

২. কারও অনেকদিন যাবত জিন-জাদুর সমস্যা আছে, জিনেরা যেভাবে পারে ক্ষতি করে। এরকম ক্ষেত্রেও কিছু চুরির ঘটনা হতে পারে।

৩. জাদু আক্রান্ত কারও কারও ব্যবহারের জিনিসপত্র জিনের দ্বারা চুরি করিয়ে সেটা দিয়ে শয়তান জাদুকর আবার ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে।

৪. ওপরের মত পুরাতন কোনো ঘটনার জের ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে জিনের মাধ্যমে এক-দুইটা চুরি হতে পারে। তবে এমনটা বিরল।

[গ]আমাদের করণীয় কী?

১. সকাল-সন্ধ্যা ঘুমের আগের জিকির নিয়মিত করা। এতে কোনো অবহেলা না করা। বাড়িতে প্রবেশের ও বের হওয়ার দোয়া পড়া।

২. টাকাপয়সা বা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার সময় বিসমিল্লাহ বলে রাখা। বিসমিল্লাহ বলে ড্রয়ার বা আলমারি বন্ধ করা।

৩. ঘরে ছবি/তাবিজ/মুর্তি জাতীয় কিছু থাকলে সাফ করা। সন্দেহজনক কিছু পেলে জাদু নষ্টের নিয়মমাফিক নষ্ট করা। ঘরে ইসলামি পরিবেশ বজায় রাখা।

৪. “বাড়িতে জিনের সমস্যা থাকলে করণীয়” লেখার কাজগুলো একটা একটা করে করা। প্রতিটা ৩দিন করে করা যায়। চাইলে একসাথে একাধিকও করা যাবে।

৫. নিয়মিত জাকাত প্রদান করা। এবং যা কিছুই আয় হোক, এটা থেকে নিয়মিত বরকতের নিয়তে দান-সদকাহ করা।

৬. এছাড়াও নবিজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো কিছু হারিয়ে গেলে বা বিপদের সময় পড়ার দোয়াটি বেশি বেশি পড়া উচিত। দোয়াটি হল- {إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ – اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِيْ وَأَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِنْهَا