শয়তানের শারিরিক নির্যাতন থেকে বাঁচার উপায়
November 15, 2023রিজিক বৃদ্ধির একটি আমল এবং এ সংক্রান্ত কিছু কথা
November 15, 2023🟢 সম্মানিত পাঠকবৃন্দ,
আজকে আমরা আপনাদের জন্য রাসূল ছাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছাল্লাম এর শিখিয়ে যাওয়া আমলের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করবো যেটি আপনারা যারা জ্বীন যাদুতে আক্রান্ত সবার জন্য কাজে আসবে ইন শা আল্লাহ। এই আমলটি ইতিমধ্যে একাধিক দেশে রুকইয়াহ করা রাক্বী নিজেরা আমলটি করে সেটার বাস্তবতা দেখেছেন। আমলটির ফজিলতের মধ্যে একটি হলো শয়তান থেকে এই দিনের বিকাল পর্যন্ত হেফাযত থাকবেন। এই আমলটি একজন রাক্বী কিছুদিন থেকে করে আসছিলেন। অতি সম্প্রতি তিনি একজন পেশেন্টের শরীরে থাকা অবাধ্য শয়তানকে বলেছিলেন যে রোগীর শরীর থেকে বের হয়ে আমাদের শরীরে পারলে প্রবেশ কর তবুও রোগীর শরীর থেকে বের হ! তখন শয়তানটি বলেছিলো আমি চাইলেও আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবো না সম্ভব না একটা আমলের জন্য। কি আমল সেটা সেই জ্বীন শয়তানটি বলতে চায় নি, কিন্তু সেই রাক্বী এই আমলটি কয়েকদিন থেকে করার পর তিনি তাকে কথাটি বলেছিলেন বিধায় তিনি খুব ভালোভাবেই এটা বুঝতে পারেন যে এটা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছাল্লাম এর বলে দেওয়া সেই আমলটির জন্যই সে চাইলেও ঢুকতে পারবে না। এখন আমলটি মূলত পুরোটাই তাওহীদ অর্থ্যাৎ মহান আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কিত। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন শয়তান সবচেয়ে বেশি ভয় পায় আয়াতুল কুরসি এবং এটারও কারণ সেটাই যে আয়াতটিতে মহান আল্লাহর একত্ববাদ এবং উনার ক্ষমতার আলোচনা রয়েছে।
🔹এখন কথা হলো তাওহীদের বিপরীত হলো শির্ক। আপনার বিশ্বাসে কিংবা কর্মকান্ডে যদি শির্কি কোনো বিষয় থাকে তাহলে আমলটি করে তেমন কোনো উপকার পাবেন না কারন মুখের সেই জিকির এবং অন্তরের বিশ্বাসের মধ্যে মিল নেই❗️তাও নিজের ঈমানটাকে বিশ্বাসকে এবং কর্মকান্ডগুলোকে সবার আগে একদম শির্ক মুক্ত করতে হবে।
❇️ আচ্ছা এখন সেই আমলটির কথা বলি আশা করি যারা জ্বীন যাদুগ্রস্থ কিংবা যারা সাধারণ মানুষ আছি তারাও আমলটি করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ। আমলটির অনেক ফজিলত আছে তা নিচের হাদীসে দেওয়া হলো।
🩵 আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আ’লাকুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর।” অর্থ- আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই; তিনি অদ্বিতীয়, তার কোন অংশীদার নেই, তারই রাজত্ব, তারই যাবতীয় প্রশংসা; তিনিই সব বিষয়ের উপর শক্তিধর- যে লোক এ দু’আ প্রতিদিনে একশ’ বার পাঠ করে সে দশজন গোলাম মুক্ত করার পুণ্য অর্জন হয়, তার (আমালনামায়) একশ’ নেকী লেখা হয় এবং তার হতে একশ’ পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়। আর তা ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত শাইতান হতে তার জন্যে রক্ষাকারী হয়ে যায়। সেদিন সে যা পুণ্য অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশি পুণ্যবান কেউ হবে না। তবে কেউ তার চাইতে বেশি ‘আমাল করলে তার কথা আলাদা।
📚সহিহ মুসলিম (৬৭৩৫,৬৫৯৮,৬৬৫০)
অর্থ্যাৎ আমলটি চাইলে আপনি ১০০ বারের বেশিও পড়তে পারেন। আপনারা বাংলা অর্থটি শিখে নিবেন আরবীর পাশাপাশি তাহলে পড়ার সময় মনযোগ থাকবে এবং সওয়াবও পাবেন এবং সকল আমল যতোটা সম্ভব আরবীর পাশাপাশি এর বাংলা অর্থটা শিখাও জরুরী।
আরবী : لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ