লবন পানি দিয়ে বমি করা। একটি প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
October 28, 2022
রুকইয়াহ তে এনেমার ভুমিকা বনাম দাজ্জালী প্রচারণা।
October 28, 2022
লবন পানি দিয়ে বমি করা। একটি প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
October 28, 2022
রুকইয়াহ তে এনেমার ভুমিকা বনাম দাজ্জালী প্রচারণা।
October 28, 2022

জ্বীন যাদুর চিকিৎসায় “রুকইয়াহ”ই কী একমাত্র শরয়ী সমাধান?

জ্বীন যাদুর চিকিৎসায় “রুকইয়াহ”ই কী একমাত্র শরয়ী সমাধান? লিখেছেন – আব্দুল্লাহ ফাহাদ।

প্রচলিত উত্তর টা হচ্ছে “হ্যা” আবার প্রকৃত একাডেমিক উত্তরটা হচ্ছে, “না।”

রুকইয়াহ মানে হচ্ছে কুরআন, বৈধ কথা, দু’আ, ইত্যাদি তিলাওয়াত করা। [1]

আর জ্বীন যাদুর সমাধানে রাসুল সাঃ এর একমাত্র সমাধান রুকইয়াহ না। বরং প্রকৃত সমাধান হচ্ছে, ” রুকইয়াহ ও তিব্বের সমন্বয়”। তিব্ব মানে চিকিৎসা প্রক্রিয়া।

আমরা দেখতে পাই যে, রাসুল সাঃ যাদুগ্রস্থ হওয়ার পর যাদু কে তুলে নষ্ট করেছেন আর হিজামার দ্বারা ইস্তিফরাগ করেছেন। [2]

রাসুল সাঃ এর কাছে জ্বীনগ্রস্থ রোগী আসলে তিনি তাকে বৈধ বাক্য দ্বারা রুকইয়াহ করা ও বুকে (অন্য বর্ননায় পিঠে) আঘাতের সমন্বয়ে চিকিৎসা করেছেন। এখানে বৈধ বাক্য ব্যবহার টা রুকইয়াহ আর আঘাত করা টা তিব্ব বা চিকিৎসা। তিনি কোথাও কোথাও রোগীর মুখে থুথু দিয়েছেন, কোথাও মাসেহ করেছেন। এই থু থু প্রদান, মাসেহ করা তিব্ব বা চিকিৎসা। [3]

এইজন্য ইবনুল কায়্যিম রহঃ ওনার Prophetic Medicine বইয়ে যাদুর চিকিৎসায় দুটো অধ্যায় উল্লেখ করেছেন। [4]

প্রথম অধ্যায়- যাদুর চিকিৎসায় রাসুল সাঃ এর নির্দেশনা। এই অধ্যায়ে কুরআন তিলাওয়াত, আযকার সংক্রান্ত কোন আলোচনা নেই। এখানে আছে যাদু তুলে নষ্ট করার বর্ননা ও শরীরে যাদু আক্রান্তের জায়গা থেকে ইস্তিফরাগ করার বর্ননা। এটা তিব্ব ও যাদু নষ্টের প্রধান চিকিৎসা। এই অধ্যায় কে তিনি “রাসুল সাঃ এর নির্দেশনা” বা মাসনুন (সুন্নাহ পদ্ধতি) হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দ্বিতীয় অধ্যায়- আযকার ও আয়াত দ্বারা যাদুর চিকিৎসা।

এই অধ্যায়ে আয়াত, দু’আ, আযকার তিলাওয়াতের দ্বারা রুকইয়াহ করাকে তিনি যাদু নষ্টের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ও উপকারী হিসেবে বর্ননা করেছেন। এটা রুকইয়াহ। কিন্তু এটাকে তিনি মাসনুন বা “যাদু নষ্টের ক্ষেত্রে সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি” হিসেবে উল্লেখ করেননি।

তিব্ব বা চিকিৎসা দুই প্রকার। এক প্রকার হচ্ছে আসমানি বা ইলাহী চিকিৎসা আর দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে দুনিয়াবি চিকিৎসা। কুরআন, রুকইয়াহ, দু’আ, আযকার এগুলো আসমানি চিকিৎসা আর দুনিয়াবি চিকিৎসার মাঝে দুনিয়ার সকল চিকিৎসা শাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত। প্রফেটিক মেডিসিন, আয়ুর্বেদ, এলোপ্যাথি, চাইনিজ মেডিসিন TCM ইত্যাদি।

তিব্বুন নববীতে চিকিৎসার প্রয়োগ তিন প্রকার।

১) দুনিয়াবি দাওয়া (medication) দ্বারা চিকিৎসা করা।
২) আসমানি দাওয়া (medication) দ্বারা চিকিৎসা করা।
৩) দুনিয়াবি ও আসমানি দাওয়া (medication) এর সমন্বয়ে চিকিৎসা করা।

ইবনুল কায়্যিম রাহঃ বলেন,

وفى أثر آخر: ” عليكم بالشفاءين: العسل والقرآن (1) “.
فجمع بين الطب البشرى والإلهي، وبين طب الأبدان وطب الأرواح، وبين الدواء الأرضي والدواء السمائي
الطب النبوى- ص:27

রাসুল সাঃ এর হাদিস। ” তোমাদের জন্য দুটি বস্তুতে শিফা আছে। মধু ও কুরআন।” এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনুল কায়্যিম রাহঃ বলেন, রাসুল সাঃ এই হাদিসে মানবীয় চিকিৎসা ও ইলাহি চিকিৎসা কে একত্রিত করেছেন, শারীরিক চিকিৎসা ও আত্মিক চিকিৎসা কে একত্রিত করেছেন, যমীনের চিকিৎসার সাথে আসমানি চিকিৎসা কে একত্রিত করেছেন।

জ্বীন যাদু ধংসের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ হচ্ছে তৃতীয় পদ্ধতির সফল প্রয়োগ ও সমন্বয় ঘটানো। যেমন জ্বীনঘটিত রোগের চিকিৎসায় মেডিসিন প্রয়োগ।[6] অথবা জীন তাড়াতে বৈধ বাক্য দ্বারা রুকইয়াহর পাশাপাশি মাসেহ, ফু, আঘাত, ইস্তিফরাগ ইত্যাদির সফল সমন্বয় ঘটানো। এইজন্যই দেখা যায় যে, জীন যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি শুধু প্রচলিত ট্রিটমেন্টে কখনোই পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করেনা। আবার শুধু রুকইয়াহর তিলাওয়াতেও কখনোই পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করেনা, আংশিক উপশম বা সুস্থতা আসে। পরিপুর্ন সুস্থতার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রুকইয়াহ ও তিব্বের সমন্বয় আবশ্যক, এবং এটাই সুন্নাহসম্মত নির্দেশনা। নয়তো রোগ নির্মুলের নামে রোগীদের সাথে খেয়ানত ছাড়া আর কিছুই হয়না। তিব্ব বলতে এখানে এলোপেথির সমন্বয় বুঝানো হচ্ছেনা। বরং জিন যাদুর চিকিৎসায় রাসুল সাঃ এর চিকিৎসা সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলো নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক মানসিক পরিবর্তন ঘটানোর উদ্যেশ্য কে বাস্তবায়ন করে৷ যেমন অসংখ্য উদ্দেশ্যের একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, জ্বীন শরীরের যেসকল জায়গার নার্ভ গুলো কে দখল করে আছে সেসকল নার্ভগুলোকে স্টিমুলেট করা [7]। এই সকল উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন কে তরান্বিত করে এরুপ চিকিৎসা গুলোই পরবর্তীতে রুকইয়াহ শাস্ত্রে যুক্ত হয়েছে। এই চিকিৎসা গুলো তিন ধরনের।

প্রথমটি হচ্ছে, এমন পদ্ধতি যা রাসুল সাঃ থেকে বা কুরআন থেকে সরাসরি প্রমানিত, যেমন ফু দেওয়া, হিজামা করা, জীনের চিকিৎসায় গোসল করানো।

দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে যার প্রক্রিয়াগত মূলনীতি রাসুল সাঃ থেকে প্রমানিত। কিন্তু এর প্রয়োগ কিভাবে হবে সেটা গবেষনা নির্ভর। যেমন শরীরে জীন কে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে দ্বর্ব প্রয়োগ করা। [9] অথবা জীনঘটিত রোগের চিকিৎসায় মেডিসিন প্রয়োগ করা। [10]

উদাহরণস্বরুপ রাসুল সাঃ থেকে জ্বীনের রোগীকে আঘাত করা (দ্বর্ব) প্রমানিত হলেও কার ক্ষেত্রে কতটুকু কিভাবে প্রয়োগ হবে সেটা প্রমানিত নয়। এটা রোগীভেদে ভিন্নতর হয়ে থাকে। কারো ক্ষেত্রে ফু যথেষ্ঠ, কারো ক্ষেত্রে সামান্য কলম বা মিসওয়াকের খোচা বা আঘাত যথেষ্ট। কারো ক্ষেত্রে প্রেশার পয়েন্ট গুলোতে ম্যাসেজ বা প্রেশার দিতে হয় যেমনটা আকুপ্রেশারে করা হয়ে থাকে। কারো ক্ষেত্রে ফায়ার কাপিং যথেষ্ঠ আর কারো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি মাত্রায় দ্বর্ব প্রয়োজন হয়। রাসুল সাঃ এর দ্বর্ব প্রদানের ফলে শরীরে যেসকল প্রতিক্রিয়া বা পরিবর্তন সৃষ্টি হতো উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো একই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মূলনীতি গত দিক থেকে রাসুল সাঃ এর দ্বর্ব আর উল্লেখিত চিকিৎসার ফলে শরীরে সৃষ্ট কার্যকারিতা উভয়েই এক। কিন্তু প্রয়োগের জায়গায় এসে রোগীভেদে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।

তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে এমন ট্রিটমেন্ট প্রক্রিয়া যেগুলো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এর উপকারিতা প্রমানিত। যেমন কোন কোন জীনের রোগীর ক্ষেত্রে সাইকিয়াট্রিক মেডিসিন সাময়িক সমাধান হিসেবে ফলপ্রসু।

রাসুল সাঃ, সাহাবা ও সালাফদের বর্ননাসমূহ ও যাদুল মা’আদের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যাদুর চিকিৎসা হিসেবে কুরআন, দু’আ, তিলাওয়াত করা অত্যাধিক শক্তিশালী মুবাহ ও মুস্তাহাব চিকিৎসা। অপরদিকে মূল চিকিৎসা হচ্ছে যাদু তোলা। আর যাদু তুলতে না পারলে মূল সুন্নাহসম্মত চিকিৎসা হচ্ছে ইস্তিফরাগ করে যাদুর প্রভাব বের করে আনা। এবং পরিপুর্ন সুস্থতার জন্য রুকইয়াহর সাথে এগুলোর সমন্বয় ঘটানো। জীন যাদুর চিকিৎসায় ইস্তিফরাগ, দ্বর্ব রুকইয়াহর সমন্বয়ে করা প্রয়োজন হয় নয়তো কোন ধরনের সুস্থতা আসেনা। ইল্লা মাশা আল্লাহ। অনেকে দ্বর্ব মানেই পিটাপিটি মারামারি বুঝে থাকেন। এগুলো সমাজে প্রচলিত ভুল চিন্তাধারা।

এর বাহিরে গোসল, বাখুর ব্যবহার, লিখিত কুরআন ধুয়ে পানি খাওয়া কেন্দ্রিক কিছু খন্ডিত বর্ননা আছে পূর্ববর্তী ইমামদের থেকে। যা পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। [11]

তেমনিভাবে দেখা যায় যে, বদনজরের মূল চিকিৎসা রুকইয়াহর পাশাপাশি দ্বর্ব (আঘাত করা), গোসল সহ আরো আনুষাংগিক কিছু বিষয়। [12]

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, জ্বীন যাদুর চিকিৎসায় শুধু দু’আ পড়া বা তিলাওয়াতের পাশাপাশি সুন্নাহ থেকে সাব্যস্ত এরুপ অনেকগুলো পদ্ধতি চিকিৎসা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই একাডেমিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করলে জীন যাদুর চিকিৎসায় “রুকইয়াহ” ই একমাত্র সমাধান। এই কথাটা টা শুদ্ধ নয়। বরং শুদ্ধ হচ্ছে Ruqyah and related treatment. [রুকইয়াহ ও সম্পৃক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি]…

সমাজে প্রচলনের কারনে আমরা পুরো শাস্ত্রটিকে “রুকইয়াহ” নামে আখ্যায়িত করে থাকি। যেমনিভাবে আমরা “ভাত খাওয়া” দ্বারা শুধু সাদা ভাত খাওয়া বুঝাইনা। বরং ভাত তরকারি সব খাওয়াই বুঝাই। সমাজের প্রচলিত অর্থে বুঝানোর স্বার্থে আমরা “ভাত খাওয়া” উল্লেখ করি।

সুতরাং সামাজিক প্রচলনের দৃষ্টিকোন থেকে “জীন যাদুর চিকিৎসায় রুকইয়াহই একমাত্র সমাধান” -এটা বলাটা ঠিক আছে। কিন্তু একাডেমিক দৃষ্টিকোন থেকে এই কথাটি শুদ্ধ নয়।

[1]

وقال ابن الأثير : الرقية العوذة التي يرقى بها أصحاب الآفة كالحمّى والصرع وغير ذلك من الآفات

[2]
أَحَدُهُمَا – وَهُوَ أَبْلَغُهُمَا – اسْتِخْرَاجُهُ وَإِبْطَالُهُ، كَمَا صَحَّ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَأَلَ رَبَّهُ سُبْحَانَهُ فِي ذَلِكَ، فَدَلَّ عَلَيْهِ فَاسْتَخْرَجَهُ مِنْ بِئْرٍ، فَكَانَ فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ وَجُفِّ طَلْعَةِ ذَكَرٍ، فَلَمَّا اسْتَخْرَجَهُ ذَهَبَ مَا بِهِ حَتَّى كَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ، فَهَذَا مِنْ أَبْلَغِ مَا يُعَالَجُ بِهِ الْمَطْبُوبُ، وَهَذَا بِمَنْزِلَةِ إِزَالَةِ الْمَادَّةِ الْخَبِيثَةِ وَقَلْعِهَا مِنَ الْجَسَدِ بِالِاسْتِفْرَاغِ.

وَالنَّوْعُ الثَّانِي: الِاسْتِفْرَاغُ فِي الْمَحَلِّ الَّذِي يَصِلُ إِلَيْهِ أَذَى السِّحْرِ، فَإِنَّ لِلسِّحْرِ تَأْثِيرًا فِي الطَّبِيعَةِ، وَهَيَجَانَ أَخْلَاطِهَا وَتَشْوِيشَ مِزَاجِهَا، فَإِذَا ظَهَرَ أَثَرُهُ فِي
عُضْوٍ، وَأَمْكَنَ اسْتِفْرَاغُ الْمَادَّةِ الرَّدِيئَةِ مِنْ ذَلِكَ الْعُضْوِ، نَفَعَ جِدًّا.
وَقَدْ ذَكَرَ أبو عبيد فِي كِتَابِ ” غَرِيبِ الْحَدِيثِ ” لَهُ بِإِسْنَادِهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، ( «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ عَلَى رَأْسِهِ بِقَرْنٍ حِينَ طُبَّ» ) . قَالَ أبو عبيد: مَعْنَى طُبَّ: أَيْ سُحِرَ.

[3] [9]

وعن عيينة بن عبد الرحمن: حدثني أبي عن عثمان بن أبي العاص قال: لما استعملني رسول الله صلى الله عليه وسلم على الطائف؛ جعل يعرض لي شيء في صلاتي، حتى ما أدري ما أصلي! فلما رأيت ذلك رحلت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ابن العاص؟ قلت: نعم يا رسول الله! قال: ما جاء بك؟ قلت: يا رسول الله! عرض لي شيء في صلاتي حتى ما أدري ما أصلي! قال: ذاك شيطان، ادنُه. فدنوت منه، فجلست على صدور قدمي، قال: فضرب صدري بيده، وتفل في فمي وقال: اخرج عدو الله! ففعل ذلك ثلاث مرات ثم قال: الحق بعملك. أخرجه ابن ماجه 3548، والروياني في مسنده (وإسناده صحيح)

[عن جابر بن عبدالله:] خرَجْنا مع رسولِ اللهِ صلَّى اللَّهُ عليه وسلَّم في غزوةِ ذاتِ الرِّقاعِ حتَّى إذا كُنَّا بحَرَّةِ واقمٍ عرَضَتِ امرأةٌ بدويَّةٌ بابنٍ لها فجاءَت إلى رسولِ اللهِ صلَّى اللَّهُ عليه وسلَّم فقالَت يا رسولَ اللهِ هذا ابني قد غلَبني عليه الشَّيطانُ فقال أَدْنِيه منِّي فأَدْنَتْه منه قال افتَحي فمَه ففتَحَتْه فبصَق فيه رسولُ اللهِ صلَّى اللَّهُ عليه وسلَّم ثُمَّ قال اخس عدوَّ اللهِ أنا رسولُ اللهِ قالها ثلاثَ مرَّاتٍ ثُمَّ قال شأنُك بابنِك ليس عليه فلن يعودَ إليه شيءٌ ممَّا كان يُصِيبه

الهيثمي (ت ٨٠٧)، مجمع الزوائد ٩‏/١٠ • فيه عبد الحكيم بن سفيان ذكره ابن أبي حاتم ولم يجرحه أحد وبقية رجاله ثقات • أخرجه الطبراني في «المعجم الأوسط» (٩١١٢) باختلاف يسير، والبزار مختصرا كما في «مجمع الزوائد» للهيثمي (٨/٥٦٢

[4]

فَصْلٌ فِي هَدْيِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عِلَاجِ السِّحْرِ الَّذِي سَحَرَتْهُ الْيَهُودُ بِهِ

[فصل عِلَاجُ السِّحْرِ بِالْأَذْكَارِ وَالْآيَاتِ]
النَّافِعَةُ بِالذَّاتِ، فَإِنَّهُ مِنْ تَأْثِيرَاتِ الْأَرْوَاحِ الْخَبِيثَةِ السُّفْلِيَّةِ، وَدَفْعُ تَأْثِيرِهَا يَكُونُ بِمَا يُعَارِضُهَا وَيُقَاوِمُهَا مِنَ الْأَذْكَارِ وَالْآيَاتِ وَالدَّعَوَاتِ الَّتِي تُبْطِلُ فِعْلَهَا وَتَأْثِيرَهَا، وَكُلَّمَا كَانَتْ أَقْوَى وَأَشَدَّ كَانَتْ أَبْلَغَ فِي النُّشْرَةِ، وَذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الْتِقَاءِ جَيْشَيْنِ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عُدَّتُهُ وَسِلَاحُهُ، فَأَيُّهُمَا غَلَبَ الْآخَرَ قَهَرَهُ، وَكَانَ الْحُكْمُ لَهُ، فَالْقَلْبُ إِذَا كَانَ مُمْتَلِئًا مِنَ اللَّهِ مَغْمُورًا بِذِكْرِهِ، وَلَهُ مِنَ التَّوَجُّهَاتِ وَالدَّعَوَاتِ وَالْأَذْكَارِ وَالتَّعَوُّذَاتِ وِرْدٌ لَا يُخِلُّ بِهِ يُطَابِقُ فِيهِ قَلْبُهُ لِسَانَهُ، كَانَ هَذَا مِنْ أَعْظَمِ الْأَسْبَابِ الَّتِي تَمْنَعُ إِصَابَةَ السِّحْرِ لَهُ، وَمِنْ أَعْظَمِ الْعِلَاجَاتِ لَهُ بَعْدَ مَا يُصِيبُهُ.

[5]

وعن عيينة بن عبد الرحمن: حدثني أبي عن عثمان بن أبي العاص قال: لما استعملني رسول الله صلى الله عليه وسلم على الطائف؛ جعل يعرض لي شيء في صلاتي، حتى ما أدري ما أصلي! فلما رأيت ذلك رحلت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ابن العاص؟ قلت: نعم يا رسول الله! قال: ما جاء بك؟ قلت: يا رسول الله! عرض لي شيء في صلاتي حتى ما أدري ما أصلي! قال: ذاك شيطان، ادنُه. فدنوت منه، فجلست على صدور قدمي، قال: فضرب صدري بيده، وتفل في فمي وقال: اخرج عدو الله! ففعل ذلك ثلاث مرات ثم قال: الحق بعملك. أخرجه ابن ماجه 3548، والروياني في مسنده (وإسناده صحيح)

[6] [10]
حدثنا يعقوب قال حدثنا أبي عن محمد بن إسحاق قال حدثني محمد بن جعفر بن الزبير عن عروة بن الزبير أن عائشة حدثته أنه قال حين قالوا خشينا أن يكون به ذات الجنب إنها من الشيطان ولم يكن الله ليسلطه علي

[7]
সাইন্সের দৃষ্টিকোন থেকে দ্বর্ব, ফু, রুকইয়াহর সাউন্ড ইত্যাদি দ্বারা মূলত নার্ভ স্টিমুলেটেড হয়। এটা বিস্তারিত ব্যখ্যা সাপেক্ষ। শুধু প্রসংগের স্বার্থে উক্ত পোস্টে বর্ননাটি আনা হয়েছে।

[11]
ذكر ابن بطال أن في كتب وهب بن منبه: أن يأخذ سبع ورقات من سدر أخضر –النبق-فيدقه بين حجرين، ثم يضربه بالماء ويقرأ فيه آية الكرسي وذوات قل، ثم يحسو منه ثلاث حسوات، ثم يغتسل به، فإنه يذهب عنه كل ما به، وهو جيد للرجل إذا حبس عن أهله [].

سئل عن النشرة بالاشجار والأدهان؟ قال: لا بئس بذالك, بلغنى أن عائشة سحرت, فقيل لها فى منامها: خذى ماء من ثلاثة أبار يجرى بعضها إلى بعض,واغتسلى به, ففعلت, فذهب عنها ما كانت تجد-
الجامع في السنن والآداب والمغازي والتاريخ

[12]
و جاء في مسند الإمام أحمد عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ وَسَارُوا مَعَهُ نَحْوَ مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِشِعْبِ الْخَزَّارِ مِنَ الْجُحْفَةِ اغْتَسَلَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ وَكَانَ رَجُلا أَبْيَضَ حَسَنَ الْجِسْمِ وَالْجِلْدِ فَنَظَرَ إِلَيْهِ عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ أَخُو بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ وَهُوَ يَغْتَسِلُ فَقَالَ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ وَلا جِلْدَ مُخَبَّأَةٍ فَلُبِطَ سَهْلٌ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ لَكَ فِي سَهْلٍ وَاللَّهِ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَمَا يُفِيقُ قَالَ هلْ تَتَّهِمُونَ فِيهِ مِنْ أَحَدٍ قَالُوا نَظَرَ إِلَيْهِ عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامِرًا فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ وَقَالَ عَلامَ يَقْتُلُ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ هَلا إِذَا رَأَيْتَ مَا يُعْجِبُكَ بَرَّكْتَ ثُمَّ قَالَ لَهُ اغْتَسِلْ لَهُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ وَمِرْفَقَيْهِ وَرُكْبَتَيْهِ وَأَطْرَافَ رِجْلَيْهِ وَدَاخِلَةَ إِزَارِهِ فِي قَدَحٍ ثُمَّ صُبَّ ذَلِكَ الْمَاءُ عَلَيْهِ يَصُبُّهُ رَجُلٌ عَلَى رَأْسِهِ وَظَهْرِهِ مِنْ خَلْفِهِ يُكْفِئُ الْقَدَحَ وَرَاءَهُ فَفَعَلَ بِهِ ذَلِكَ فَرَاحَ سَهْلٌ مَعَ النَّاسِ لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ . وفي رواية قَالَ فَضَرَبَ صَدْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنْهُ حَرَّهَا وَبَرْدَهَا وَوَصَبَهَا قَالَ فَقَامَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مِنْ أَخِيهِ أَوْ مِنْ نَفْسِهِ أَوْ مِنْ مَالِهِ مَا يُعْجِبُهُ فَلْيُبَرِّكْهُ فَإِنَّ الْعَيْنَ حَقٌّ