জ্বীন যাদুর চিকিৎসায় “রুকইয়াহ”ই কী একমাত্র শরয়ী সমাধান?
October 28, 2022
রুকইয়াহর প্রয়োজনে আবরনের উপর মহিলা রোগীদেরকে স্পর্শ করা নিঃশর্ত কি হারাম? আলিমদের ফাতওয়া কি বলে?
December 8, 2022
জ্বীন যাদুর চিকিৎসায় “রুকইয়াহ”ই কী একমাত্র শরয়ী সমাধান?
October 28, 2022
রুকইয়াহর প্রয়োজনে আবরনের উপর মহিলা রোগীদেরকে স্পর্শ করা নিঃশর্ত কি হারাম? আলিমদের ফাতওয়া কি বলে?
December 8, 2022

রুকইয়াহ তে এনেমার ভুমিকা বনাম দাজ্জালী প্রচারণা।

রুকইয়াহ তে এনেমার ভুমিকা বনাম দাজ্জালী প্রচারণা। লিখেছেন -আব্দুল্লাহ ফাহাদ

তিব্বুন নববী কিতাবে যাদুর চিকিৎসা অধ্যায়ে বমির দ্বারা ইস্তিফরাগের আলোচনা টানার পর যাদুর চিকিৎসায় এটা কিভাবে প্রয়োগ করা হবে সে ব্যাপারে ইবনুল কাইয়িম রাহঃ ” ইস্তিফরাগ ও বমির ব্যাপারে রাসুল সাঃ এর নির্দেশনা” নামক স্বতন্ত্র অধ্যায় রচনা করেন। সেখানে উল্লেখ করেন,

وَالْقَيْءُ اسْتِفْرَاغٌ مِنْ أَعْلَى الْمَعِدَةِ, وَالْحُقْنَةُ مِنْ أَسْفَلِهَا، وَالدَّوَاءُ مِنْ أَعْلَاهَا وَأَسْفَلِهَا،

বমি করা হয় পেটের উপরাংশ থেকে ইস্তিফরাগ করার উদ্যেশ্যে আর enema (এনেমা, হুক্বনাহ,ঢুশ] দেওয়া হয় নীচে দিয়ে ইস্তিফরাগের উদ্যেশ্যে (অর্থাৎ মলদ্বার দিয়ে)। ফলে সুস্থতা আসে উপর নীচ উভয় দিক থেকে।

আরবিতে এনেমাকে حقنة الشجرية বলে।
https://www.almaany.com/en/dict/ar-en/enema/

এনেমা হচ্ছে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে কিছু পেট পরিস্কারক লিকুইড মলদ্বার দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। ফলে টয়লেট প্রেশার দেয় এবং টয়লেটের সাথে বর্জ্য বের হয়ে আসে। শাস্ত্র ভেদে বিভিন্ন উপাদান বা চিকিৎসাপোকরণ পানির সাথে মিশিয়ে এনেমার লিকুইড তৈরী করা হয়। যেমন লবন পানি, কফি পানি, গাহওয়া পানি, ভেষজ পানি ইত্যাদি, রুকইয়াহ কৃত পানি।

এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা রোগীর জানা থাকলে সে নিজে ঘরেও দিতে সক্ষম। এ ব্যাপারে শত শত ভিডিও আছে ইউটিউবে। রিসার্চ আছে অসংখ্য।

* কিভাবে আপনার সন্তান কে এনেমা দিবেন। [Boston Children’s Hospital]

https://youtu.be/qaGoMZZg6d0

* কিভাবে নিজেকে নিজে এনেমা দিবেন এ ব্যাপারে অনেক প্র্যাক্টিশনারের টিউটোরিয়াল আছে।
https://youtu.be/rvZ8x8THSrw

* শাইখ খালিদ হিবশী (হাঃ) রুকইয়াহ তে এনেমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কুরআন লিখে ধোয়া পানি বা কুরআন পড়ে ফু দেওয়া পানি মলদ্বার দিয়ে প্রবেশ করানো যাবে নাকি সে ব্যাপারে আলোচনা করেন।

https://youtu.be/gkWcL-xQj3w

সাধারণভাবে এনেমা একটি নিরাপদ প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া পদ্ধতি জানা থাকলে এটা যে কেউ নিজের ঘরেও দিতে পারবে। উত্তম হচ্ছে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে দেওয়ানো। এটা যে শুধু মডার্ন মেডিকেল সাইন্সে চর্চা হয় তা না। এটা আয়ুর্বেদ সহ বিভিন্ন শাস্ত্রে চর্চা হয়। এটাকে আয়ুর্বেদে “বাস্তি কার্মা” বলা হয়।

https://youtu.be/TcQeynALA6E

এনেমা এমনকি পশুদেরকে পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু পশুদেরকে এমনকি কোন মানুষ কেও এখন পর্যন্ত এনেমা দেওয়ার জন্য আইসিউ তে নেওয়ার কোন রেকর্ড নেই। এলিয়েন হলে ভিন্ন কথা।

https://youtu.be/gSj29icUKlY

এনেমার সাথে আইসিউ হ্যান ত্যান জুড়ে দিয়ে মানুষ কে ভড়কে দেওয়া আর সাধারন পানি খাওয়ার জন্য হসপিটালে ভর্তি হতে বলা একই কথা। দুই চার বছর পড়াশুনা করেই এরকম বিজনেস মেন্টালিটির হলে কিভাবে হবে।

এক নোংরা মানসিকতার ব্যক্তি আমার নামে এক জঘন্য কথা ছড়িয়েছিলো। যেখানে দেখা যাচ্ছে আমি বলেছি,

“অচিরেই রুকইয়াহ তে এনেমা বাংলাদেশে প্রচলিত/ ম্যান্ডাটরি হতে যাচ্ছে।”

এত সুন্দর একটা কথাকে সেই নোংরা ব্যক্তি এই বলে প্রচার করে চরিত্র হনন করতে চেয়েছে যে, “মেয়েদের পেছনে নাকি আমি নিজেই এনেমা দিয়ে দিয়েছি।” এই ব্যক্তি নিজেকে ইন্টার্ন ও মুসলিম নাকি দাবী করে। অথচ এই ব্যক্তি অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সম্বন্ধীয় টেন্সের মাঝে পার্থক্য করতে পারেনা। এই ব্যক্তি কিভাবে সার্টিফিকেট পেলো তা প্রশ্নসাধ্য বিষয়।

কোন কথাকে কি বানিয়ে ফেললো! তাদের এই নোংরামি ব্যার্থ হয়ে এটা প্রকাশিত হওয়ার পর তাদের এক গ্যাং লিডার আহমদুল আবার কমেন্ট করে যে, “এটা ভুল বোঝাবুঝি ছিলো”। কমেন্ট করেই আবার ডিলিট করে দেয়। প্রমান রাখতে পারিনি। ফলে ওর মুখের ওপাশ টা দেখানো সম্ভব হচ্ছেনা।

” আমি ভাত খেয়েছি” কে যারা এই বলে প্রচার করে যে, “আপনার বউ কে আমি মুখে তুলে ভাত খাইয়ে দিয়েছি”। যারা এই ব্যখ্যা করবে আর যারা এই ব্যাখ্যাকে ভুল বুঝাবুঝি আখ্যায়িত করবে। দুটোই মানসিক বিকারগ্রস্থ আর নয়তো দাজ্জালের মত নোংরা মানসিকতার মিথ্যুক।

বস্তির ছেলেরা বস্তির মতই কথা বলবে সেটা নিয়ে কষ্ট ছিলো না। কষ্ট টা হচ্ছে এই নোংরামিতে এমন সব ব্যক্তিরা লাইক কমেন্ট শেয়ারের মাধ্যমে সায় দিয়েছেন যাদের কে মানুষ আলিম হিসেবে চেনে, এনাদের কাছে দ্বীন শেখার জন্য যায়। তাদের ইল্মি পরিচয়ের কারনে আমিও তাদের শ্রদ্ধার আসনে রাখতাম। অথচ এরা এমন মন্তব্য করার আগে অডিও টা নিজে একবার শোনার প্রয়োজনও বোধ করলেন না। এনারা সমর্থন না দিলে কখনোই এই নোংরামি এত প্রসার ঘটতোনা। আল্লাহ এসব মুখোশধারী লোকদের দ্বীন কে এদের মুখের উপর ছুড়ে মারুন, এদের পরিবার বর্গের নারী পুরুষ কে একই রকম নোংরামিতে জড়িয়ে সমাজে লাঞ্চিত করুন। ইরু, আহমদুল, এনেমা গ্যাংয়ের জন্য আল্লাহ যথেষ্ঠ হয়ে যান।

اللهم خذهم أخذ عزيز مقتدر… اللهم خذ ابنائهم وازواجهم… ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلْحَقَّ مِنْ عِندِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْهم حِجَارَةً مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئْتِهم بِعَذَابٍ أَلِيمٍۢ