️হিজামা কি?
হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসারও অন্তর্ভুক্ত। হিজামার মাধ্যমে আমরা দূষিত রক্ত(toxin)বের করে ফেলি,ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় নার্ভগুলো একটিভ হয়,শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরির হয় সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী। ইহা আরামদায়ক,সল্পখরচ,ঝামেলাহীন নিরাপদ ফলপ্রসূ চিকিৎসা।
️দূষিত রক্ত(Toxin) কি?
টক্সিন শরিরের নিরব ঘাতক।টক্সিন হল জৈব বিষ যা মানব দেহে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়,আবার শরিরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মল, মূত্র,ঘাম এবং নিঃশ্বাসের সাথে টক্সিন বের হয়ে যায়।যদি উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমান নির্গত বর্জ্যের থেকে বেশি হয় তবে কিছু পরিমান এই দূষিত দেহে জমতে জমতে টক্সিনে পরিনত হয়।হজমে সমস্যা থাকলে,মলত্যাগে সমস্যা হলে,ঘাম না হলে,পরিমিত পানি পান না করলে শরিরে টক্সিন জমতে শুরু করে বা টক্সিন উৎপন্ন হওয়া সহজ হয়ে যায়।
টক্সিন শরিরের কোষগুলোকে দূর্বল করে দেয়। যার ফলে আমরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।প্রতিদিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই টক্সিন গুলো উৎপন্ন হয়,যেমনঃ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,বাহিরের ভাজাপুড়া,মাছে বা ফলে থাকা ফরমালিন,পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক,ধুমপানের অভ্যাস থাকলে,বায়ূ দুষণের কারনে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা,অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি এর মত ক্ষতিকারক বস্তু সমুহ।
মোটকথা প্রায় সকল মানব দেহেই টক্সিন বিদ্যমান,কারো পরিমানে কম অথবা বেশি।হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ঐ সমস্যা লুকিয়া থাকা টক্সিনগুলো বের করে ফেলি।যার ফলে আপনি হবেন সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী। এই জন্যই সুস্থ অবস্থায় প্রতি চার মাস অন্তর হিজামা/কাপিং করা উত্তম।
️হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,”নিশ্চয়ই হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময়(বুখারীঃ৫২৯৪)
⏩মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে তন্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম(আল হাকিমঃ৭৪৭০)
⏩খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম, এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়(ইবনে মাজাহঃ৩৪৮৭)
⏩গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও,কারন কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে(৭৪৮২)
✅হিজামায় যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়ঃ-
*কাশি,কফ ও ফুসফুসের সমস্যা
তাছাড়া নিকোটিনের ক্ষতির প্রভাব থেকে বাচঁতে ধুমপায়ীদের জন্য হিজামা খুবই উপকারি।
.
মাথার চুল না কেটে হিজামা/কাপিং করা হয়।তবে চুল ফেলে হিজামা/কাপিং করা উত্তম।
বিঃদ্রঃ হিজামা/কাপিং এর সচরাচর তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।
আমাদের সেবা সমূহঃ-
১/ওয়েট কাপিং(ব্লাড বের করে হিজামা করা)
২/ড্রাই কাপিং(ব্লাড ছাড়া হিজামা করা)
হিজামা/কাপিং এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ইউটিউবে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
এখানে সম্পূর্ণ নতুন কাপ দ্বারা হিজামা কাপিং করানো হয়
—————–
আমাদের এখানে রয়েছে M.B.B.S ডক্টরের কাছে হিজামার উপরে ১বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ট্রেনিং নেয়া অভিজ্ঞ ও দক্ষ থেরাপীস্টগন।
যারা প্রায় ৫ বছর+ সময় ধরে হিজামা সেবা দিচ্ছেন। তাছাড়া মহিলাদের জন্য মহিলা থেরাপীস্ট ও পুরুষদের জন্য পুরুষ থেরাপীস্ট আছেন।
আপনার রোগ অনুযায়ী ২১দিন থেকে ১মাস পরপর ২-৩ সেশন বা ৩-৭ সেশন হিজামা নেয়া দরকার হতে পারে ।
.
.# কোন ঔষধ হিজামার আগে বন্ধ রাখতে হবে?
১/ Aspirin জাতীয় ওষুধ খেলে হিজামা করানোর ২৪ ঘন্টা আগে বন্ধ রাখতে হবে।
# হিজামার পরে রুগীর কোন কোন বিষয় গুলো মেনে চলতে হবে।
১/ নখ দিয়ে চুল কানো যাবে না।
২/ হিজামার ২৪ ঘণ্টার আগে গোসল করা যাবে না।
৩/ হিজামার ২/৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিলে ভাল হবে।৪/ হিজামা করার পরে ২ দিন সহবাস করা যাবে না।
৫/ হিজামা করার পরে ৩ দিন চর্বি অথবা এলারজি জাতিয় কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।
# যাদের হিজামা করানো যাবেনা।
১/ IVC Filter (lung এর জন্য রক্ত নালীতে বসানো একটা ডিভাইস) শরীরে থাকবে।
২/ Stents (রক্ত নালীতে বসানো একটা ডিভাইস; Heart এর জন্য) শরীরে থাকবে।
৩/ যাদের Heart এ পেসমেকার বসানো আছে তাদের হার্টে হিজামা করানো যা
বে না।
৪/ গর্ভবতী মহিলাদেরও হিজামা করা যাবেনা।
৫/ ক্ষতস্থানের ঠিক উপরে হিজামা করা যাবেনা।
৬/ ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে পায়ের তালুতে , টাখনুর নিচে হিজামা না করা টাই ভাল।
—————–
📲 এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার নিয়মঃ
কল দিবেন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে
📞 01763 951 371
📞 01833 406 632
কল দিয়ে না পেলে মেসেজ দিয়ে রাখবেন (Appointment Chai ) লিখে।
আমরা সময় করে কল ব্যাক করবো ইনশ-আল্লাহ।
📍চেম্বারের লোকেশনঃ
রূপনগর আবাসিক রোড ১৯, বাসা ৫৫, মিরপুর-২, ঢাকা।