আমাদের সেবা সম্পর্কে জানুন!

.
আস-সালামু আলাইকুম,

 “কুরআনিক ট্রিটমেন্ট বিডি“  রুকইয়াহ ও হিজামা সেন্টারে আপনাকে স্বাগতম। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা ২০১৯ সাল থেকে অথ্যন্ত সুনামের সাথে সেবা দিয়ে আসছি।  রুকইয়াহ ও হিজামা উভয় সেবার ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক রাকী ও হিজামা থেরাপীস্টদের বিভিন্ন কার্যকরী পদ্ধতি অবলম্বন করি।

.

বর্তমানে আমাদের সেন্টারে আমরা ৫টি সেবা প্রদান করি:

.

১. পরামর্শ সাপোর্ট

.🛡️ পরামর্শ সাপোর্ট কী?

“পরামর্শ সাপোর্ট” বলতে সাধারণভাবে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা বা নির্দেশনা বোঝানো হয়, যা মানুষকে তাদের সমস্যার সমাধান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।

🏠 বাসায় বসেই সুবিধা:
সরাসরি  চেম্বারে  এসে অথবা ফোন কলে আপনার সমস্যা জানিয়ে আমাদের তৈরি করা সেল্ফ রুকইয়াহ পেইড পরামর্শ অনুসরণ করে নিজে রুকইয়াহ করতে পারবেন।
💬 টেলিগ্রাম সাপোর্ট: আমাদের প্রাইভেট টেলিগ্রাম গ্রুপে আনলিমিটেড সাপোর্ট পাবেন ইনশাআল্লাহ।


🌈 পরামর্শ সাপোর্টে আপনি যেসব সুবিধা পাবেন

👤 ব্যক্তিগত পরামর্শ
🔍 সমস্যা নির্ণয় ও রেফারেল
📈 ফলো-আপ সেশন
📖 সেল্ফ রুকইয়াহ পরামর্শ
💊 ২০+ সমস্যার রুকইয়াহ প্রেসক্রিপশন
🏃 লাইফস্টাইল মডিফিকেশন পরামর্শ
🔐 প্রাইভেট টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন
♾️ আনলিমিটেড সাপোর্ট
📞 ফোন কলে সাপোর্ট


🌿 পরামর্শ সাপোর্ট—বাসায় বসেই, সহজভাবে এবং নিরাপদভাবে সমস্যার সমাধান ও সহায়তা পাওয়ার ইসলামী পদ্ধতি।

.

 

২. রুকইয়াহ শরইয়াহ

.

🕌 রুকইয়াহ শরইয়াহ কী?

“রুকইয়াহ শরইয়াহ” হলো কুরআন ও সহীহ হাদিসভিত্তিক, অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে পরিচালিত একটি শরই চিকিৎসা পদ্ধতি। এর মাধ্যমে জিন-যাদু, ওয়াসওয়াসা, বদনজর ও নানাবিধ মানসিক ও শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায় ইনশাআল্লাহ।


🧭 চিকিৎসা প্রক্রিয়া !

🩺 প্রথমে নতুন রোগীদের জন্য ১টি শর্ট ডায়াগনোসিস রুকইয়াহ সেশন করা হয় (সময় লাগে আনুমানিক ১-১.৫ ঘণ্টা)।
⏱️ এরপর ধাপে ধাপে প্রতি মাসে ১টি লং রুকইয়াহ সেশন (২.৫+ ঘণ্টা) নিয়ে চিকিৎসা কনটিনিউ করতে হয়।


🌙 রুকইয়াহ শরইয়াহ’র মাধ্যমে যেসব সমস্যা দূর হয়

💭 ওয়াসওয়াসা (মনের বিভ্রান্তি ও ভয়)
👁️ বদনজর (হিংসা বা নজরের প্রভাব)
💭 জিন বা পরীর আছর
🪄 কালোযাদু ও যাদুর প্রভাব
🧠 মানসিক সমস্যা ও অস্থিরতা
💉 দূরারোগ্য ও অজ্ঞাত রোগ
💭ভয়-ভীতি ও দুঃস্বপ্নের সমস্যা
💭 বিষন্নতা ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা
💔 বিয়ে, রিজিক ও সফলতায় বাধা
🏠 পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনের কলহ
🕋 ইবাদতে অনীহা (নামাজ, কুরআন, যিকর-আযকারে অলসতা)
বাইপোলার ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হিস্টিরিয়া, ADHD, অটিজম ও মৃগীরোগ
🚭 বদঅভ্যাস: পর্ণাসক্তি, মাদকাসক্তি ও মোবাইল আসক্তি


🌿 রুকইয়াহ শরইয়াহ—আত্মার প্রশান্তি ও দেহ-মনকে আল্লাহর কুরআনের আলোয় সুস্থ করার এক বিশুদ্ধ ইসলামিক পদ্ধতি।

[ বি: দ্র:  দূরের পেশেন্ট ও প্রবাসী পেশেন্টদের জন্য অনলাইনে ভিডিও কলে শর্ট রুকইয়াহ সেশন করে চিকিতসা দেয়া হয়। ]

.

৩. হিজামা ও ড্রাই কাপিং !

🩺 হিজামা ও ড্রাই কাপিং কী?

হিজামা হলো একটি প্রাকৃতিক ও সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময় থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

শরীরের নির্দিষ্ট অংশে কাপ ব্যবহার করে সূক্ষ স্ক্রাচ করে কিছু রক্ত বের করা হয়, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিটক্সিফিকেশন এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।   এটি একটি প্রাচীন চিকিতসা ।

🥣 ড্রাই কাপিং: ড্রাই কাপিং হলো একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে ত্বকের উপর বিশেষ কাপ স্থাপন করে সাকশন বা টান তৈরি করা হয়, যা ব্যথা কমাতে, রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে এবং পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে।  এটিতে রক্ত বের করা হয় না।পশমের জন্য ব্যবহৃত হয়

📅 সেশন নিতে হয়! 

  • একজন সুস্থ মানুষ বছরে ২-৩ মাস অন্তর ৩-৪ বার হিজামা নিতে পারেন।

  • বিভিন্ন রোগের জন্য ১ মাস পর পর একাধিক সেশন দরকার হতে পারে।

থেরাপিস্ট: মহিলাদের জন্য মহিলা থেরাপিস্ট এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ থেরাপিস্টরা সেবা প্রদান করেন।


🌈 হিজামা ও ড্রাই কাপিংয়ের উপকারিতা

🛡️ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন
🦴 পিঠ, ঘাড় ও কোমরের ব্যথা
🤲 জয়েন্টে ব্যথা ও আর্থ্রাইটিস
💓 উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস
🩹 চর্মরোগ, স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা
🍽️ হজমের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিক
🛡️ মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ঘুমের সমস্যা
🛡️ বন্ধ্যাত্ব ও পিরিয়ড সমস্যা
🛡️ জাদু, জ্বিন ও বদনজরের সমস্যা
🛡️ দুর্বল ইমিউন সিস্টেম ও শরীর ডিটক্সিফাই


🌿 হিজামা ও ড্রাই কাপিং — প্রাকৃতিক, সুন্নাহভিত্তিক এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শরীর সুস্থ রাখার সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি।

 

৪. তাদমীর ও  এস্তেফরাগ! 

🌿 তাদমীর (Tadmeer) কী?

তাদমীর হলো এমন একটি চিকিৎসা প্রক্রিয়া যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ (pressure), ম্যাসাজ বা ঘর্ষণ (massage & stimulation) দেওয়া হয় —এর মাধ্যমে শরীরে থাকা জিন, যাদু, হাসাদ (হিংসা), নজর, গিট, বাঁধন  ও হুসুন (জিনের দূর্গ) (knot/badhan/husun) ভেঙে দেওয়া হয়।

আমাদের সেন্টারে কখনো শুধু তাদমীর সেশন করা হয়। আবার কখনো তাদমীর +  এস্তেফরাগ সেশণ করা হয়।


⚙️ তাদমীর কিভাবে কাজ করে?

💢 শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ-হালকা ম্যাসাজ, হালকা আঘাত দিয়ে জিন-যাদুর হুসুন, গিট ও বাধন ভেঙে দেওয়া হয়।
🩸 এতে শরীরের ভেতরের শক্তি প্রবাহ সক্রিয় হয়। অলসতা, দূর্বলতা ও ক্লান্তি দূর হয়।
💨 রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি ও স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা সৃষ্টি করে আটকে থাকা নেতিবাচক শক্তি বেরিয়ে আসে।
📿  অনেক সেশন তাদমীরের পর শরীর তার স্বাভাবিক অবস্থানে চলে আসে।


তাদমীরের সময় যা অনুভূত হতে পারে!

🔥হালকা থেকে মাঝারি বা কিছু ক্ষেত্রে তীব্র ব্যথা
🔥 শরীর গরম লাগা বা কাঁপুনি
💧 ঘাম হওয়া, হালকা বমিভাব
🔥 কিছু সময় পর স্বস্তি, হালকা ভাব ও মানসিক প্রশান্তি

এই ব্যথা আসলে শরীরে আটকে থাকা  গিট বাধন ও হুসুন  ভাঙার চিহ্ন ।


🌸 তাদমীর সেশনে যে উপকার পাওয়া যায় !

🧠 জিন, যাদু, হাসদ (হিংসা) বা নজরের প্রভাব
💔 মানসিক চাপ, ভয়, আতঙ্ক, অস্থিরতা
🧠 ঘুমের সমস্যা ও দুঃস্বপ্ন
🦴 মাথা, ঘাড়, কাঁধ বা পিঠে অকারণ ব্যথা
💫 অলসতা,দূর্বলতা মনোযোগের অভাব, ক্লান্তি
💧 শরীরে শক্তি ও প্রশান্তির অভাব


⚠️ সতর্কতা

  • তাদমীর অবশ্যই অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।

  • গর্ভবতী নারী, শিশু, বা দুর্বল স্বাস্থ্যের রোগীদের ক্ষেত্রে চাপ প্রয়োগে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

  • সেশনের আগে ও পরে পানি পান, যিকির, ও  হালকা বিশ্রাম নেওয়া উপকারী।

💧 এস্তেফরাগ (Istifragh) কী

“এস্তেফরাগ” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো 👉 ‘বের করে দেওয়া’ বা ‘নিষ্কাশন’
চিকিৎসার ভাষায় এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে শরীরকে বমি করানো হয় (Therapeutic Vomiting) — যাতে পাকস্থলী, লিভার ও রক্ত থেকে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়। এস্তেফরাগ (استفراغ / Istifragh) বা বাংলায় বমি চিকিৎসা (Therapeutic Vomiting) হলো তিব্বে নববী (Prophetic Medicine) ও প্রাচীন ইউনানি চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিটক্স পদ্ধতি — যার উদ্দেশ্য শরীরের ভিতরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ, অতিরিক্ত কফ, পিত্ত, বা টক্সিন বের করে দেওয়া।  আবার জিন যাদু-আক্রান্ত রোগীদের পেটে যাদু থাকে যা এই প্রসেসে বের করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।


⚙️ এস্তেফরাগ কিভাবে কাজ করে?

🩹 রোগীর শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত কফ (phlegm), পিত্ত (bile) বা বিষাক্ত পদার্থ (toxins) ও পেটের যাদু দূর করার জন্য পড়া পানীয় সাথে কিছু ভেষজ প্রাকৃতিক উপাদান দেওয়া হয়।
💨 এতে শরীর নিজে থেকেই হালকা বমি করে, যা প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সের কাজ করে।
💨 এর ফলে হজমশক্তি বাড়ে, মাথা ও বুকে জমে থাকা ভারভাব দূর হয়, এবং শরীরের ভারসাম্য ফিরে আসে।
🧘‍♀️ এটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক প্রশান্তি ও হালকাভাবও এনে দেয়।


🌿 এস্তেফরাগে ব্যবহৃত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান !

🍃 কালোজিরা, মধু ও উষ্ণ  বা নরমাল পানি সাথে লবন।
🌿 আদা, তুলসী, পুদিনা
🍯 উষ্ণ মধু মিশ্রিত হার্বাল ড্রিংক
🧄 কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ রুকইয়াহ-পাঠ করা পানি বা তেল

(নোট: এসব উপাদান শুধুমাত্র অভিজ্ঞ হিজামা/রুকইয়াহ থেরাপিস্টের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত)


🌸 এস্তেফরাগ এ যে উপকার পাওয়া যায়!

💧 বুকে ভার, বুক জ্বালা, মাথা ভার হওয়া
💧 ঘুমের সমস্যা ও মানসিক ভারভাব
💧 জিন, যাদু, বা হাসদের প্রভাবজনিত ক্লান্তি
🍽️ হজমের সমস্যা, অতিরিক্ত কফ ও গ্যাস
💧 টক্সিন বা দূষিত পদার্থ জমে থাকা
💆‍♀️ মাথাব্যথা, চোখ ভার, মনোযোগের ঘাটতি
🩸 লিভার ও পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা দুর্বলতা


⚠️ সতর্কতা

🚫 এস্তেফরাগ সেশন একজন অভিজ্ঞ রুকইয়াহ/হিজামা/তাদমীর থেরাপিস্টের পরামর্শে ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে করতে হয়।
🤰 গর্ভবতী, দুর্বল বা হৃদরোগী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত নয়।
💧 বমির পর পর্যাপ্ত পানি, ইলেক্ট্রোলাইট ও বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।

৫. আকুপ্রেশার  ও আকুপাংচার! 
আকুপ্রেশার (Acupressure) হলো প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির (Traditional Chinese Medicine – TCM) একটি শাখা, যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে (pressure points) হাতের আঙুল, বুড়ো আঙুল বা বিশেষ যন্ত্র দিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতির লক্ষ্য হলো শরীরের “চি” (Qi) বা জীবনশক্তির সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করা, যাতে শরীরের ভারসাম্য (balance) ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

🔹 আকুপ্রেশার কিভাবে কাজ করে?

  1. শরীরে প্রায় ৩৬০টিরও বেশি আকুপ্রেশার পয়েন্ট আছে, যেগুলো “মেরিডিয়ান” নামে পরিচিত শক্তি প্রবাহের পথে অবস্থিত।

  2. কোনো পয়েন্টে চাপ দিলে সেই পথে শক্তির প্রবাহে বাধা দূর হয়, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা উন্নত করে।

  3. এটি স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, হরমোন নিঃসরণে প্রভাব ফেলে এবং রক্ত চলাচল উন্নত করে।

  4. ফলে ব্যথা, মানসিক চাপ, ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার উপশম ঘটে।


আকুপ্রেশারে উপকার পাওয়া যায় এমন ১০টি রোগ বা সমস্যা!

  1. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন

  2. ঘাড় ও কোমরের ব্যথা (Neck & Back Pain)

  3. হজমের সমস্যা (Indigestion, Gas, Constipation)

  4. ঘুমের সমস্যা (Insomnia)

  5. মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা (Stress, Anxiety, Depression)

  6. সাইনোসাইটিস ও সর্দি-কাশি

  7. মাসিকের ব্যথা (Menstrual Cramps)

  8. হাত-পা অবশ হওয়া বা ঝিনঝিন ভাব (Numbness/Tingling)

  9. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে (High/Low Blood Pressure)

  10. ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা (Weight Management)


⚠️ সতর্কতা:

  • আকুপ্রেশার সাধারণত নিরাপদ, তবে গর্ভবতী নারী, হৃদরোগী, বা গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া করা উচিত নয়।

  • সঠিক পয়েন্টে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ না করলে উল্টো ফল হতে পারে।

আকুপাংচার কি?

আকুপাংচার (Acupuncture) হলো প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির (Traditional Chinese Medicine – TCM) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে খুব সূক্ষ্ম সূঁচ (fine needles) প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এটি আকুপ্রেশার-এর মতোই “চি” (Qi) বা জীবনশক্তির প্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে কাজ করে, তবে আকুপ্রেশারের মতো শুধু চাপ নয়—এখানে সূঁচ ব্যবহার করা হয়।


🔹 আকুপাংচার কিভাবে কাজ করে?

  1. চি (Qi) বা শক্তি প্রবাহের ধারণা:
    চীনা দর্শন অনুযায়ী শরীরের ভেতরে শক্তি প্রবাহের পথকে “মেরিডিয়ান” (Meridian) বলা হয়। কোনো কারণে এই শক্তি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হলে অসুস্থতা দেখা দেয়।

  2. নিডল বা সূঁচ প্রয়োগ:
    নির্দিষ্ট মেরিডিয়ান পয়েন্টে সূক্ষ্ম সূঁচ প্রবেশ করানো হলে সেই পথ পুনরায় সচল হয়, শক্তি প্রবাহ ঠিক হয়।

  3. আধুনিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী:

    • সূঁচ শরীরের নার্ভ (nerve endings)-এ হালকা উদ্দীপনা দেয়।

    • এতে এন্ডোরফিন (endorphin)সেরোটোনিন (serotonin) নামক প্রাকৃতিক রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা ব্যথা কমায় ও মানসিক প্রশান্তি আনে।

    • রক্তসঞ্চালন ও হরমোন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।


আকুপাংচারে উপকার পাওয়া যায় এমন ১০টি রোগ বা সমস্যা:

  1. মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা (Migraine & Headache)

  2. ঘাড়, কোমর ও জয়েন্টের ব্যথা (Neck, Back & Joint Pain)

  3. সায়াটিকা ও আর্থ্রাইটিস (Sciatica, Arthritis)

  4. হজমের সমস্যা (Indigestion, IBS, Constipation)

  5. ঘুমের সমস্যা (Insomnia)

  6. মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা (Stress, Anxiety, Depression)

  7. অ্যালার্জি, সাইনোসাইটিস ও হাঁপানি (Allergy, Sinusitis, Asthma)

  8. মাসিকজনিত সমস্যা (Menstrual Cramps, PCOS)

  9. ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ধূমপান ত্যাগে সহায়তা (Weight Loss, Smoking Cessation)

  10. ফ্রোজেন শোল্ডার ও স্নায়ুর ব্যথা (Frozen Shoulder, Neuropathy)


⚠️ সতর্কতা:

  • শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত ও সার্টিফাইড আকুপাংচার বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে করা উচিত।

  • সংক্রমণ এড়াতে স্টেরাইল (sterile) সূঁচ ব্যবহার আবশ্যক।

  • গর্ভবতী নারী, হৃদরোগী বা রক্তপাতজনিত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা প্রয়োজন।

৬. লাইফস্টাইল মডিফিকেশন !

🌿 লাইফস্টাইল (Lifestyle) কী

লাইফস্টাইল মানে হলো —
👉 একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন পদ্ধতি, অভ্যাস, চিন্তাধারা, আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, কাজ ও সামাজিক সম্পর্কের সমন্বিত রূপ।

অর্থাৎ আপনি কী খান, কেমন ঘুমান, কীভাবে কাজ করেন, কীভাবে চিন্তা করেন, এবং সময় কাটান — সব মিলিয়ে আপনার জীবনযাপনই হলো আপনার লাইফস্টাইল।


⚙️ লাইফস্টাইলের মূল উপাদানগুলো

🍽️ খাদ্যাভ্যাস (Healthy Diet)
💤 ঘুম ও বিশ্রাম (Sleep & Rest)
🏃‍♂️ ব্যায়াম ও শরীরচর্চা (Physical Activity)
🧘 মানসিক প্রশান্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ (Mental Wellness)
🕊️ আধ্যাত্মিকতা ও ইতিবাচক চিন্তা (Spiritual & Emotional Balance)
🕊️ সামাজিক সম্পর্ক ও ইতিবাচক পরিবেশ
🕒 সময় ব্যবস্থাপনা ও কাজের ভারসাম্য (Work-life Balance)


🌸 লাইফস্টাইলের মাধ্যমে কীভাবে উপকৃত হওয়া যায়?

💪 শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা:
নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম আহার ও পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে ফিট রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

🧠 মানসিক প্রশান্তি লাভ:
ধ্যান, নামাজ, যিকির, বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায় ও মন শান্ত রাখে।

❤️ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ:
সুস্থ জীবনযাপন দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক রোগ থেকে রক্ষা করে।

🍀 হজম ও রক্তসঞ্চালন উন্নতি:
প্রাকৃতিক খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও নিয়মিত চলাফেরা হজম শক্তি বাড়ায়।

🌞 ইতিবাচক শক্তি ও উদ্যম বৃদ্ধি:
সুস্থ লাইফস্টাইল মনকে সতেজ রাখে, কাজের ইচ্ছা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

🕊️ আধ্যাত্মিক ও মানসিক ভারসাম্য:
পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, নামাজ, যিকির, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্য একজন মানুষকে আত্মিকভাবে দৃঢ় করে।


🌱 লাইফস্টাইল উন্নত করার কিছু সহজ উপায়

🥗 প্রতিদিন তাজা ফল ও সবজি খাওয়া
🚶 নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম
🕋 সময়মতো নামাজ ও ঘুম
📵 স্ক্রিন টাইম কমানো ও প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা
🧠 ইতিবাচক চিন্তা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
💧 পর্যাপ্ত পানি পান
🧠 নিজেকে সময় দেওয়া ও মানসিক প্রশান্তি অনুশীলন


সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ লাইফস্টাইল মানে শুধু রোগমুক্ত থাকা নয় —
বরং শরীর, মন ও আত্মার পূর্ণ সমন্বয়। 🌿

এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার নিয়মঃ
.
নূন্যতম ৩ দিন আগে কল দিয়ে সিরিয়াল বুক করতে হয়। তবে খালি থাকা সাপেক্ষে ইমার্জেন্সী সিরিয়াল তথা যেদিনের সিরিয়াল সেদিনও মোবাইলে যোগাযোগ করে দেওয়া যায়।
কল দিবেন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে নিম্নোক্ত নম্বরে।
     .
📞 01763 951  371
📞  01833 406 632
☎️ হটলাইন নম্বর:
📞 09643 10 11 12
    .
সেন্টারের লোকেশনঃ
.
   রুপনগর আবাসিক রোড ১৯, বাসা ৫৫ (২য় তলার বামপাশে), রুপগনর, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
.
 গুগল ম্যাপ লোকেশন:
.
.
সোশ্যাল মিডিয়া:
.
❇️ টেলিগ্রাম:
❇️মেসেঞ্জার:
❇️ফেসবুক  :
❇️ ইউটিউব: 
❇️ ট্রেনিং গ্রুপ:
❇️ পেশেন্টদের রিভিউ: 
❇️ সাজেশন গ্রুপ:
.
যারা কুরআন-হাদিস অনুযায়ী শরঈয়তসম্মত এই চিকিৎসা জানে না তাদের কাছে আমাদের লিংকগুলো শেয়ার করে পৌছে দিন।
আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে যদি কেউ উপকৃত হয়।