জ্বিনকে বোতলে বন্দী করা যায়,জ্বালিয়ে দেওয়া যায়, হত্যা করা যায় ❗
.
অনেক জ্বিন হুজুর,কবিরাজ,তান্ত্রিক বলে আমরা আপনার জ্বিনটি কে দূর থেকে জ্বালিয়ে দিব, হত্যা করব, বোতলে বন্দি করব। আসলে কি এগুলো করা সম্ভব! বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ সময় এগুলো করা সম্ভব নয়। মানুষকে তাদের চিকিৎসার দিকে আকৃষ্ট করে এসব বলে। এরা মানুষের সাথে প্রতারণা করে।
.
কেননা জিন হচ্ছে আল্লাহর লুকানো মাখলুকাত। জ্বিনরা অদৃশ্য তাদেরকে দেখা যায় না, দেখা গেলেও ভিন্ন আকৃতিতে দেখা যায় তাদের আসল আকৃতিতে দেখা যায় না। যার কারনে আসলেই তারা হত্যা হয়েছে কিনা জ্বলে গিয়েছে কিনা সেই বিষয় যাচাই করার কোন উপায় নাই। জ্বিন মানুষের শরীরে বিভিন্নভাবে লুকায়িত থাকে, যা কোন কবিরাজ তান্ত্রিক জ্বিন হুজুর কখনোই বের করতে পারে না।
,
কারণ তান্ত্রিক,জিন হুজুর, কবিরাজ তারা নিজেরাই জ্বিনদের হাতে বস হয়ে যায়। অনেক ভিডিওতে দেখা যায় জিন হুজুর,কবিরাজ, তান্ত্রিক জিনকে হত্যা করছে রোগী চিৎকার করছে। তোমাদেরকে আমি জ্বালিয়ে দিলাম আর রাখতে পারলাম না তোমরা আমার কথা শুনছো না কথাগুলো বলে আল্লাহু আকবার বলে জবাই করে। রুগী তখন ভীষণ চিৎকার চেঁচামেচি করে মনে হচ্ছে আসলেই জ্বিন জবাই হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে রোগীকে জিজ্ঞেস করে, আপনি কি কিছু দেখতে পেয়েছেন রুগী বলে,হ্যাঁ আমি দেখতে পেয়েছি।
,
রুগীকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনার কেমন অনুভব হচ্ছে রোগী বলে হ্যাঁ আমি ভালো অনুভব করছি। মূলত গলায় চাপ দেওয়ার কারণে জ্বিন শয়তান অনেক সময় কষ্ট পায়।সাধারণত কখনোই এভাবে জ্বিনকে হত্যা করা সম্ভব না ১০০% এর মধ্যে ৯৯.৯% জ্বিনকে এভাবে হত্যা করা যায় না। খুব দূর্বল অল্প সংখ্যক জ্বিনকে হত্যা করা যায় আল্লাহর ইচ্ছায়। পরবর্তীতে কোন দক্ষ রাক্বির কাছে গিয়ে রুকইয়াহ করলে দেখা যায় ঠিকই জ্বিন শয়তান লুকায়িতভাবে রুগীর শরীরে রয়ে গিয়েছে। @Quranic Treatment BD
Show less