জিন শয়তান টাকা পয়সা চুরি করলে করণীয়!
October 20, 2024তাদমির কি? রুকইয়াহ সেশনে তাদমির দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি?
October 20, 2024কুফর শিরক করা ছাড়া শয়তান জ্বিনরা সাহায্য করে না।
এসব তারা সুলায়মানি বিদ্যার নামে করলেও আসলে এসব কুফর। সুলাইমানের(আ) রাজত্বে শয়তানেরা যা আবৃত্তি করত, তারা তা অনুসরণ করত। অথচ সুলাইমান (আ) কুফরী (সত্যপ্রত্যাখ্যান) করেননি বরং শয়তানেরাই কুফরী (অবিশ্বাস) করেছিল।\
(সুরা বাকারাহ-১০২)
। وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا
“আর নিশ্চয় কতিপয় মানুষ কতিপয় জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা তাদের অহংকার বাড়িয়ে দিয়েছে।
” সূরা জিনঃ ০৬
পূজা চলাকালীন অবস্থায় জ্বীন-যাদুগ্রস্ত ভিক্টিদের অনেক সমস্যা বৃদ্ধি হয়ে যায়। এর ব্যাখ্যা করতে গেলে বিশাল বড় লেখা হয়ে যাবে, কিন্তু উক্ত সময়ে আমাদের কি কি করনীয় এই বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো।
শুধু এইটুকু জেনে রাখেন- প্রত্যেক নারী মূর্তির সাথেই একজন করে নারী শয়তান-জ্বীন থাকে। “তারা (মুশরিকরা) তাঁকে (আল্লাহকে) বাদ দিয়ে কেবল নারী দেবতাদেরকেই ডাকে” আয়াতের এই অংশের তাফসির সম্পর্কে ইবনে আবি হাতিম রহিমাহুল্লাহ বলেন
, عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: ﴿إِنْ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ إِلا إِنَاثًا﴾ قَالَ: مَعَ كُلِّ صَنَمٍ جنيَّة
. উবাই ইবনে কা’ব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, প্রত্যেক মূর্তির সাথেই একজন নারী জ্বীন রয়েছে। অন্য বর্ণনায় : উযযা মূর্তির রূপ ধরে মহিলা জিন মূর্তিপূজা করার জন্য উৎসাহ দিত। এজন্য রাসূল (ছাঃ) উক্ত নগ্ন নারী জিনকে প্রকৃত উযযা বলেছেন।
(নাসাঈ কুবরা হা/১১৫৪৭)। উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক মূর্তির সাথে একজন করে নারী জিন থাকে’ (আহমাদ হা/২১২৬৯)।
যে মানুষকে তার দিকে প্রলুব্ধ করে।
আমরা দেখেছি পূজা চলকালীন সময়। জ্বীন যাদুগ্রস্ত রোগীর মাঝে সমস্যাগুলো প্রবল আকারে বৃদ্ধি হয়ে যায়, এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। যেমন : শিরক কুফুরের দ্বারা জ্বীন শয়তানদের কে সৃষ্টিকর্তার আসিনে স্থান দেওয়া হয়।
পূজার সময় জ্বীন শয়তান মূর্তির জন্য অনেক কিছু বলি (উৎস্বর্গ) করা হয়ে থাকে । আর এই বলি দেওয়ার কারণে শয়তান খুশি হয়ে তাদের কে শক্তি দান করে। যার জন্য উক্ত সময় বহু ড্যামেজড যাদু কে রিনিউ করার মৌসুম চলে। অপরদিকে বহু শক্তিশালি যাদু চর্চা করা যায়! যেটা অন্য সাধারণ সময় গুলোতে করা যায়না।
এই জন্য যাদুকরদের যাদুবিদ্যার অর্জনের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে উক্ত সময়ে। সব মিলিয়ে যাদুকরদের যাদু চর্চার বসন্ত সময় চলে পূজা আসার কারনে! এই কারণে পূজার সময়গুলোতে ভিক্টিমদের উপর বেশ প্রভাব পড়ে। যেটা অন্যান্য সাধারণ সময় গুলোর থেকে অনেক ভয়ঙ্কর খারাপ হয়ে যায়।
✅ভিক্টিমদের করনীয় কি??
পূজার মন্ডপ এলাকাগুলো তে অবস্থান না করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। অতপর পূজাচলাকালীন সময়ে ঘরের দরজা জানালা গুলো বিসমিল্লাহ বলে বলে বন্ধ করে রাখা ভালো, যেন এতে করে পূজার মন্ডপের আওয়াজ ভিক্টিমের ঘরে যেনো না পৌঁছে। তারপর সকল ভিক্টিমদের জন্য করনীয় হইলো : –
নিজেকে পবিত্র রাখা এবং ওযুরত অবস্থায় থাকা -দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মতো আদায় করা, -সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমল গুলো যথার্থভাবে পাঠ করা। – বাড়িতে একটি মাটির কলসে কিংবা পাতিলে বৃষ্টির বা সাধারন পানি রেখে, সে পাত্রের মাঝে সুরা বাকরাহ ১ বার তিলাওয়াত করে উক্ত পানিতে ফুক দেওয়া।
এবং সে পানিটা বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাসার রুমের সকল স্থানে বিসমিল্লাহ বলে বলে স্প্রে করা। -মাঝে মধ্যে বাসার ভিতরে উচ্চসুরে সুরা বাকরাহ তিলাওয়াত করা কিংবা সাউন্ডবক্স দিয়ে সুরা বাকরাহ তিলাওয়াত চালু রাখা। – ঘরে বা বাড়িতে ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারেনা এমন প্রানীর ছবি বা বস্তুু থাকলে সেগুলো কে ঘর থেকে বের করে ফেলে দেওয়া। -লানতের রুকইয়াহ করা, যাদু রিনিউ না হবার জন্য দোয়া করা বা রুকইয়াহ করা।
– আজওয়া খেজুর জমজমে কূপের পানি রুকইয়াহ এর পড়া পানি খাওয়া , বিশেষ করে হিন্দু যাদুকরদের যাদু ও বলি দেয়া যাদু নষ্ট করার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ চালু রাখা।
– -সমস্যা মাত্রারিক্ত বৃদ্ধি পেলে ভালো অভিজ্ঞ রাকীদের নিকট সরাসরি সাজেশন গ্রহন করা বা রুকইয়াহ করা। মহান আল্লাহ উক্ত আমলগুলো আমাদের সকল কে আদায় করার মতো শক্তি সাহস তাউফিক দান করুক, এবং সকল মুসলীম উম্মাহ কে জ্বীন যাদুর ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করুক।
লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন। যেনো ভুক্তভোগীদের নিকট এই রিমাইন্ডার টি পৌছিয়ে দিতে পারেন। শুকরান জাযাকুমুল্লাহ