সত্য একটি শিক্ষনীয় ঘটনা!
January 2, 2023শয়তানের শারিরিক নির্যাতন থেকে বাঁচার উপায়
November 15, 2023রুকইয়ার জগৎে রুকইয়াহ শরীয়াতে আরো ইফেক্টিভ পদ্ধতি বের করা এবং এই কাজকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াশে আমাদের এই “তেল মশলার রুকইয়াহ”।
আমরা দো’আ করি আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতা’আলা যেন এই ভিন্ন রকমের রুকইয়াহ মানুষের জন্য শিফার একটা উপকরণ হিসেবে কবুল করেন। আমিন
তেল মশলার রুকইয়াহ কি এবং কিভাবে করবো?
– এটা হলো খাবার রান্না করার যে তেল আছে ঘরে এবং খাবার রান্না করার যতো মশলা যেমন হলুদের গুড়ো/মরিচের গুড়ো ইত্যাদি মশলাতে কোরআনের আয়াত পড়ে
ফুঁ দিবেন এবং সেগুলো দিয়ে রান্না করা তরকারী খাবেন নিয়মিত। কি কি পড়ে ফুঁ দিবেন? সূরা ফাতিহা আয়াতুল কুরসি এবং সূরা ইখলাস ফালাক নাস প্রতিটা তিনবার করে পড়ে ফুঁ দিবেন যে তেল দিয়ে রাঁধবেন এবং সকল মশলার বোয়াম/পটে যেখানে মশলা গুলো রাখেন..ইন শা আল্লাহ। আরো বেশি আয়াত পড়ে ফুঁ দেওয়া যাবে? জী যাবে যতো বেশি পড়বেন ততো ভালো..যেমন সেহরের (যাদুর) আয়াত ইত্যাদি পড়ে ফুঁ দিতে পারবেন যদি যাদুটোনায় আক্রান্ত থাকেন।
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যেমন “বাবা/স্বামীকে রুকইয়াহ সরাসরি করা যাবে না তিলাওয়াতও শুনানো যাবে না কি করবো?” অথবা ধরুন আপনি প্রতিদিন স্বপ্নে খেতে দেখেন যেটা দিয়ে শয়তান আসলে আপনাকে যাদু করে থাকে..অথবা আপনার ভেতরে আশিক খবিস জীন রয়েছে সহজে যেতে চায় না..অথবা পরিবারের কেউ এমনি শারিরিকভাবে অসুস্থ্য এই সকল বিষয় রোগী নিজে রুকইয়াহ করতে পারেন বা না পারেন এই তেল মশলার রুকইয়াহ খুব কাজে আসবে ইন শা আল্লাহ। এই বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের অনেক রোগীর উপর পরীক্ষা চালাতে হবে এইজন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা যেন এটি ফলো করেন এবং করার পর আপনাদের মতামত আমাদের জানান ইন শা আল্লাহ। এই তেল মশলার যেহেতু দীর্ঘক্ষণ শরীরের ভেতরে যাবে এবং রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে খাদ্য কণিকা গুলো ভেংগে পুষ্টি কণা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে তাই আমরা আশাকরি ইন শা আল্লাহ এটি শরীরের ভেতরে থাকা জীন শয়তানের জন্য খুব কষ্টদায়ক হবে।
বিশেষ সর্তকীকরণ : আমরা অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি অনেক পানি পড়া কয়েকদিন পর আর কাজ করে না এবং জীন শয়তানের থেকে জবান বন্দি নিয়ে জানা গেছে ওরা পানির বোতলের মুখ খুলে সেটাকে নষ্ট করে দেয় পড়া পানিটা..ফলে সেটা আর কাজ করে না..এজন্য আমরা হাদীস থেকে সমাধান পেয়েছি..সেটা হলো তেল এবং মশলার বোয়াম থেকে যখন রান্না করবেন তখন সেগুলো বিছমিল্লাহ বলে খুলবেন এবং বিছমিল্লাহ বলে লাগাবেন..ইন শা আল্লাহ..এটা অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু আমি তো বাসায় রান্নার কাজ করি না! আমি না হয় তেলে মশলার বোয়ামে কোরআনের আয়াত পড়ে ফুঁ দিয়ে রাখলাম কিন্তু এগুলো অন্যরা খুলে ফেলবে তখন যদি শয়তান নষ্ট করে দেয়? এর সমাধান হলো পরিবারের মা বা অন্য যারা রান্না করে তাদের বলে রাখবেন যে বিছমিল্লাহ বলে তেলের বোতলের মশলার পট/বোয়ামের মুখ খুলবে আর বিছমিল্লাহ বলে লাগাবে ইন শা আল্লাহ..এই রুকইয়াহ তাদের জন্যও সহজ যাদের পরিবারে সবাই যাদু/জীন শয়তান দ্বারা আক্রান্ত কিন্তু কেউ সরাসরি রুকইয়াহ করাবে না..এক কথায় আপনি জীন/যাদুটোনা/বদনজর যেটাই হোন না কেনো এটি ফলো করতে পারবেন নিজের জন্য বা পরিবারের সবার জন্য।
সাইড ইফেক্ট হবে..? জী হতে পারে ভমিও হতে পারে..ভমি করে পেটের সেহের বেরিয়ে গেলে তো ভালো অথবা শরীর যদি খারাপ করে বুঝবেন রুকইয়াহ কাজ করতেছে..সুতরাং নো টেনশন ইন শা আল্লাহ
কতোদিন করবো বা কতো দিন পর পর পড়ে ফুঁ দিবো? প্রতি সপ্তাহে পড়ে ফুঁ দিয়ে রুকইয়াহ নবায়ন করে রাখবেন তেল আর মশলা গুলো। আর যতোদিন না সমস্যা কেটে যায় পুরোপুরি ততোদিন চালিয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ!
দুঃখজনক হলেও সত্য যে ফ্রী পরামর্শ অনেকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখে না/করে না। ফ্রী জিনিসের কদর নাই!
বেশি করে শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দিন সবাইকে ইন শা আল্লাহ
এরকম নতুন নতুন উপকারী রুকইয়াহ বিষয়ক পোস্ট পেতে Quranic treatment BD এর সাথেই থাকুন ইন শা আল্লাহ!
লিখেছেন একজন দ্বীনি ভাই।