
বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা লাগার মত সমস্যা গুলো কেন হয়ে থাকে?
July 3, 2025
ব্ল্যাক ম্যাজিক
July 9, 2025❇️আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্তদের সমস্যা সমূহ
১। আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বপ্নে প্রায় হেরেজমেন্টের শিকার হয়।
২। যে স্বপ্নটা আক্রান্ত ব্যক্তি বেশি দেখে তা হলো সহবাস জনিত স্বপ্ন।
৩। বিয়ের প্রতি ভীষণ অনিহা । বা কোন ভাবে বিয়ে হয় না। বিয়ে হলেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল থাকে না।
৪। একা থাকতে বেশি ভালো লাগে। মানুষের সাথে তেমন যোগাযোগ করতে পছন্দ করে না।
৫। নিজের মাহারামকে নিয়ে নোংরা চিন্তা ভাব না মাথায় ঘুরতে থাকে।
৬। মাথায় ব্যাথা থাকে প্রায় সময়। মেজাজ খিটখিটে থাকে, অল্পতে রেগে যায়।
৭। শরীরে কেউ স্পর্শ করছে মনে হয়। পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা থাকে।
৮। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের চিহ্ন বা রক্ত জমাট বাঁধা থাকে থাকে।
৯। সন্তান হতে সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রায় কাজে বিভিন্ন রকমের বাঁধা আসে।
১০। ঘুমের মধ্যে নিজেকে আকাশে উড়তে দেখে। মনে হয় বুকের মধ্যে কিছু চাপ দিয়ে ধরে আছে।
১১। বিভিন্ন ভয়ংকর প্রাণী স্বপ্নে দেখে। কুকুর, বিড়াল,গুরু স্বপ্নে আক্রমণ করতে দেখে।
১। এই জ্বিন মেয়েদের জরায়ুতে বসবাস করে সাধারণত। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে স্বপ্ন দোষ হয় বার বার।
❇️আশিক জ্বিন থেকে বাঁচার উপায়।
১। নিজের দৃষ্টিকে সংযত রাখতে হবে। সব ধরনের ননমাহারামের সাথে পর্দা করতে হবে। সব ধরনের হারাম সিনেমা, গান বাজনা থেকে দূরে থাকতে হবে।
২। পাঁচ ওয়াক্ত সলাত সঠিক সময়ে আদায় করতে হবে। ফরজ সলাতের পর নিম্নের দোয়াটি নিয়ত করে পড়বেন।
اَللَّهُمَّ اِنَّا نَجْعَلُكَ فِىْ نُحُوْرِهِمْ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
অর্থ : ‘হে আল্লাহ আমরা তোমাকে তাদের সামনে রাখলাম, তুমিই তাদের দমন কর। আর তাদের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছেই আশ্রয় চাই।’ (আবু দাউদ ১৫৩৭, মিশকাত)
৩। ফরজ সলাতের পর নিম্নের দোয়াটি নিয়ত করে পড়বেন। তাছাড়া যখন ইচ্ছে নিয়ত করে পড়তে পারবেন
اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ
“হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।”
৪। ফজরের সলাতের পর এবং আছরের সলাতের পর নিম্নের কলামাটা ১০০ বার পড়লে সেই দিন শয়তান ব্যক্তিকে স্পর্শ করতে পারবে না।
اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্বও তার। প্রশংসা শুধু তারই। তিনিই সব কিছুর সর্বশক্তিমান।
৫। নিম্নের আয়াতটি প্রতি ফরজ সলাতের পর পড়বেন।
اِنَّ الَّذِيْنَ فَتَـنُوا الْمُؤْمِنِيْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوْبُوْا فَلَهُمْ عَذَا بُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَا بُ الْحَرِيْقِ
“যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের প্রতি যুলম পীড়ন চালায় অতঃপর তাওবাহ করে না, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে আগুনে দগ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা।”
সূরা বুরুজের ১০ নং আয়াত।
৬। ঘুমানোর সুন্নাহ সমূহ আদায়া করবে ঘুমাতে যাবেন। এবং ঘুমানোর পূর্বে আশিক জ্বিন হত্যার উদ্দেশ্যে সূরা নূরের তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুবেন।
৭। নিম্নের আয়াত আমল করবেন :
وَمِنَ النَّا سِ مَنْ يَّتَّخِذُ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَنْدَا دًا يُّحِبُّوْنَهُمْ كَحُبِّ اللّٰهِ ۗ وَا لَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّـلّٰهِ ۗ
“আর কোন কোন লোক এমনও আছে, যে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহকে ভালবাসার মত তাদেরকে ভালবাসে। কিন্তু যারা মু’মিন আল্লাহর সঙ্গে তাদের ভালবাসা প্রগাঢ়
(সূরা বাকারার: ১৬৫)
৮। অবিবাহিতরা দ্রুত বিবাহ করার চেষ্টা করবে।
৯। আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই দক্ষ রাক্বির তত্ত্বাবধানে রুকইয়াহ করতেই হবে।











