আপনি কালোজাদু অথবা জিনের আছরে কিংবা বদনজরে আক্রান্ত কিনা কিভাবে বুজবেন?

আয়াতুল কিতাল ওয়া তাদমির
April 17, 2021
আশিক (লাভার) জ্বিনের আছরের লক্ষণ!
July 28, 2021
আয়াতুল কিতাল ওয়া তাদমির
April 17, 2021
আশিক (লাভার) জ্বিনের আছরের লক্ষণ!
July 28, 2021

আপনি কালোজাদু অথবা জিনের আছরে কিংবা বদনজরে আক্রান্ত কিনা কিভাবে বুজবেন?

ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্তের লক্ষন:
১. আপনি ইদানীং কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকছেন? মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিনের কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মন বসছে না?
২. আপনি অথবা আপনাদের পরিবারের কোন একজন কি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে? কেমন যেন উদাস ভাব চলে এসেছে, কিছুই ভালো লাগছে না।
৩. সালাত বা ওযু নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন? বারবার মনে হচ্ছে ঠিকমতো ওযু হচ্ছে না, নামাজের এই অংশটা ঠিকমত হল না।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা করছেন?
৫. আপনি কি অপ্রয়োজনে টয়লেট বা বাথরুমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন?
৬. আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখছেন? যা আপনাকে ভীত করছে?
৭. আপনার কানে কি ফিস ফিস করে শোনা যাচ্ছে আপনি কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছেন (কুফরি করছেন)
৮. আপনি কি ওযু-গোসল বা ইস্তিঞ্জার সময় এক অঙ্গ বারবার ধুচ্ছেন? তবুও মনে হচ্ছে ধোয়া হয়নি ঠিকমতো..
৯. আপনার বারবার মনে হচ্ছে যে, ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে? মনে হচ্ছে প্রসাবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা সবসময় মনে হচ্ছে বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না..
১০. আল্লাহ, রাসুল অথবা ঈমানের ব্যাপারে, ইসলামের মৌলিক ব্যাপারে অবমাননাকর মাথায় চিন্তা আসে?
১১. মুরব্বি, উস্তায বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনে বসলে, তাদের সাথে কথা বলতে লাগলে কি আপনার ভেতর থেকে কেউ বারবার বেয়াদবির জন্য উস্কে দিতে চায়?
১২. আপনি কি কোন অদ্ভুত শব্দ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন? কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবছে, আপনি প্যারানয়েড বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন!
১৩. আপনি কি নামাজের রাকাত ভুলে যাচ্ছেন? অথবা অন্য আরকানগুলোর ব্যাপারে ভুল হচ্ছে? সাজদাহ একটা দিয়েছেন না দুইটা দিয়েছেন সন্দেহ লাগছে? আর এসব কি প্রায় দিনই হচ্ছে?
১৪. নামাজে সাজদা করতে গেলে মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেবদেবীর মুর্তি ভেসে উঠছে?
——-
উত্তর যদি হয় “হ্যাঁ!”
তবে আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত..
খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, এক-দুইদিন এরকম হতেই পারে। কিন্তু সবসময়ই বা দিনের পর দিন যদি আপনার মাঝে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে – “হ্যাঁ! সত্যিই আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত..
 বদনজর লাগার লক্ষনঃ
১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।
জেনে নিন শরীরে জ্বীনের আছরের লক্ষনঃ
আলোচনার সুবিধার্থে জীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলোকে আমরা ২ ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। ঘুম সংক্রান্ত এবং জাগ্রত অবস্থা। 
[১ম ভাগ] ঘুম সংক্রান্ত লক্ষণ সমূহ-
১। নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই হয়, ঘুম হয়না
২। উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
৩। বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া
৪। ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা
৫। ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা
৬। স্বপ্নে কোনো প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষতঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, সিংহ, শিয়াল, সাপ (*)
৭। স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা
৮। কোনো গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা কোনো মরুভূমির সড়কে হাটাচলা করতে দেখা
৯। বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, খুব কালো কুচকুচে
১০। জ্বিন-ভুত দেখা
(*) ফ্যাক্টঃ যদি স্বপ্নে সবসময় দুইটা বা তিনটা প্রাণী আক্রমণ করতে আসছে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সাথে দুইটা বা তিনটা জ্বিন আছে। যদি ঘন ঘন সাপ দেখেন তাহলে এটা সাপ জ্বীন। ঘন ঘন কুকুর দেখলে এটা কুকুর আকৃতির জ্বীন।
[২য় ভাগ] ঘুম ব্যতীত (জাগ্রত) অন্য সময়ের লক্ষণ
১। দীর্ঘ মাথাব্যথা (চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই)
২। ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া
৩। মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা..
৪। ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা
৫। মৃগীরোগ
৬। শরীরের কোনো অংঙ্গে ব্যাথা কিংবা বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুজে পেতে বা চিকিতসা করতে অপারগ হচ্ছে।
আবারও মনে করিয়ে দেই, শারীরিক রোগের কারণেও এসব হয়ে থাকে। তবে যখন দীর্ঘদিন যাবত যখন এসব লক্ষণ দেখা যাবে, তখন ভাববেন কোনো সমস্যা আছে।
যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্যণঃ
কাউকে রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ বানিয়ে দেয়ার যাদু’। এটা বিভিন্ন রকমের হয়, কখনো শরীরের কোনো অঙ্গ একেবারে বিকল হয়ে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। কখনো চিকিৎসা করলে আবার সুস্থ হয়। এরকমও হয়, কোনো অঙ্গ মাঝেমধ্যে নাড়াচাড়া করতে পারে, মাঝেমধ্য অচল হয়ে যায়। কারো পুরো শরীর আক্রান্ত হয়।
তো যাদুর ক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণগুলো এরকম বলা যায়-
১. শরীরের কোনো অঙ্গে সবসময় ব্যথা থাকা
২. কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া
৩. পুরো শরীর নিশ্চল হয়ে যাওয়া
৪. মাঝেমধ্যেই শরীর ঝাঁকুনি বা খিঁচুনি দিয়ে বেহুঁশ হয়ে যাওয়া।
৫. কোনো ইন্দ্রিয়শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া (যেমন: স্বাদ বা গন্ধ না বুঝতে পাওয়া, শুনতে না পারা)
এতক্ষণে একটা বড় প্রশ্ন আপনার মনে উঁকি দেয়ার কথা, ‘প্যারালাইসিস, পোলিও, এপিলেপ্সি কিংবা অন্যান্য অসুখ-বিসুখের কারণেও তো এসব হয়, তাহলে কেউ যাদু করেছে না অসুখের কারণে হয়েছে তা বুঝার উপায় কী?’
হুম, যৌক্তিক প্রশ্ন বটে! যাদুটোনা বা জ্বিনের সমস্যার কারণে সমস্যা হলে সাধারণত ডাক্তারের চিকিৎসায় ফায়দা হয়না। ল্যাব টেস্ট, এক্স-রে, সিটি স্ক্যানে উল্লেখযোগ্য কিছুই পাওয়া যায়না। দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে, রুকইয়া করে দেখতে হবে। যদি কোরআনের আয়াত কিংবা দোয়া পড়ার সময় ইফেক্ট দেখা যায়, যেমন- শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে, অজ্ঞান হয়ে যায়, মাথাব্যথা পেটব্যথা শুরু হয় তবে বুঝা যাবে যাদু করেছে কেউ। আর এরকম কিছু না হলে বুঝতে হবে যাদুটাদু নাই, তখন ডাক্তারের চিকিতসা করাতে হবে।
মূল: লেখা:
রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপ – Ruqyah Support BD
.
আরও কিছু যাদুর লক্ষনঃ
বিচ্ছেদের যাদুর লক্ষণসমূহঃ
================
০১) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না।
০২) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া।
০৩) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া।
০৪) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
০৫) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।
০৬) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া।
০৭) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা।
০৮) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি।
………….
.
বিয়ে ভাঙ্গা বা বিয়ে বন্ধ করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
=======================
০১) বিয়ের আলোচনা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।
০২) (সকল) পাত্র/প্রস্তাবদাতাকে খারাপ লাগা। প্রস্তাব মনমতো না হওয়া। অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
০৩) কোনো কারণ ছাড়াই বিয়েতে আগ্রহহীন হওয়া।
০৪) ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া। ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া। ঘুম থেকে উঠার পর কষ্ট হওয়া।
০৫) প্রায় সময়ই মনে অস্থিরতা কাজ করা। সাধারণত সন্ধ্যা থেকে এরকম হয়।
০৬) পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা। বিশেষকরে কোমরের দিকে (পিঠের নিচের অংশে)।
০৭) মাথা যন্ত্রণা এবং তা চিকিৎসায় ভালো না হওয়া।
০৮) পেটে প্রায়সময়ই ব্যাথা হওয়া। ইত্যাদি।
………….
অসুস্থ বানানো বা হত্যা করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
======================
০১) প্রচন্ড অসুস্থ অথচ মেডিকেল টেস্টে ধরা না পড়া।
০২) প্রচন্ড অরুচি। দিনদিন প্রচন্ড স্বাস্থ্যহানি ঘটা।
০৩) মাঝে মাঝে শরীর ঝাকুনি বা খিচুনী দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাওয়া।
০৪) পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল বা অকেজো হয়ে যাওয়া।
০৫) শরীরের কোনো অঙ্গে সর্বদা ব্যথা থাকা।
০৬) পুরো শরীর অশাড়/নিশ্চল হয়ে যাওয়া।
০৭) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।
………….
.
মস্তিষ্কবিকৃতি বা পড়ালেখা নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
========================
০১) পড়ালেখায় হঠাৎ করে অবনতি। স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিকভাবে লোপ পাওয়া।
০২) পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।
০৩) কথাবার্তা, কাজকর্মে ভুলভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া। ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
০৪) ঘুম না আসা। ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারা।
০৫) ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নে কেউ ধাওয়া করা।
০৬) একস্থানে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে না পারা। কোনো কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা। সিরিয়াসনেস কমে যাওয়া।
০৭) জাগ্রত অবস্থায় “কেউ যেন ডাকছে” এরকম মনে হওয়া।
০৮) অকারণে হুটহাট বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, যেতে ইচ্ছে করা।
০৯) মাঝেমাঝে পাগলের মতো আচরণ করা।
১০) পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উদাসীন হওয়া। ছেড়া ও ময়লা কাপড় পরতে ইচ্ছে হওয়া।
১১) চোখের অবস্থা পরিবর্তন এবং অসুন্দর হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।
………….
গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
========================
০১) বারবার Conceive (গর্ভধারণ) হওয়ার পর Miscarriage (গর্ভপাত) হয়ে যাওয়া।
০২) মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যাথা।
০৩) ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা। ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া।
০৪) মানসিক অশান্তি। বিশেষকরে বিকাল থেকে।
০৫) ভয়ংকর ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
০৬) সহজেই সবকিছু ভুলে যাওয়া।
০৭) বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি ভারি অনুভূত হওয়া। ইত্যাদি।
উপরের এই লক্ষনগুলি অনেকগুলি মিললে ধরে নিতে পারেন সমস্যা আছে।
পেটের যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণঃ 
১) প্রায় স্বপ্নে/ঘুমে খাবার খেতে দেখা।
২) পেটে ব‍্যাথা করা, শব্দ করা, ঘুম থেকে উঠার পর পেটে অস্বস্তি অনুভব করা, জিহ্বায় খাবারের স্বাদ লেগে থাকা।
৩) পেটের নানান ধরনের অসুখে ভোগা।
৪) শরীর শুকিয়ে যাওয়া, কোনো মেডিকেল টেস্টে কোনো রোগ ধরা না পড়া। 
৫) খাবারের রুচি কমে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যায়। 
[সাধারণত স্বপ্নে খাওয়ানোর মাধ্যমে যাদু নবায়ন করে থাকে শয়তান। পেটেরে যাদুর রুকইয়াহ করে পেট পরিষ্কার করলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। রাতে ঘুমানোর আগে সুন্নাহ সম্মত আমল গুলো করে ঘুমাতে হবে।]
কনফার্ম হওয়ার জন্য এই পরীক্ষামূলক রুকইয়াহর টেস্টটি করুন এরপর আপডেট দিবেন এই পোস্টে তাই পোস্টটি সেইভ করে রাখুন।
আমরা কমেন্টস এ আপনার সমস্যা ও করণীয় কি বলে দিব ইনশ-আল্লাহ….।
.
.
অডিও টেস্ট :
আর নিচের অডিও ৭টি শুনে আমাদের জানান শোনার পর কেমন লাগছে?
লিংক ভিজিট করে সেখান থেকে ৪৬ থেকে ৫১ নং অডিও
প্রতিদিন ২টি করে শুনে ৩ দিনে শেষ করবেন।
.
গায়ে/ঘরে কোন তাবিজ থাকলে খুলে নষ্ট করে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করবেন যে আর কখনো তাবিজ ব‍‍্যবহার করবেন না। তারপর রুকইয়াহ শুনবেন।
.
তাবিজ বা যাদু নষ্টের নিয়ম : https://quranictreatmentbd.com/destroytabij/
ওযু ছাড়াও শুনতে পারবেন। বিশ্রাম নিয়ে আরেকটা শুনতে পারবেন। যখন কেউ বিরক্ত করবে না তখন শুনবেন।
 রুকইয়াহ শুনার সময় কি কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে?
কখনও হেডফোন দিয়ে, কখনও লাউড স্পিকারে।
অডিও শোনার সময় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমনঃ
প্রচন্ড ঘুমঘুম ভাব,মাথা ঝিমঝিম করা,মাথা ব্যাথা/যন্ত্রণা করা,
প্রচন্ড অস্বস্তি,পেটে (বা অন্য যেকোনো অঙ্গে) প্রচন্ড ব্যাথা,অস্বাভাবিক গরম বা ঠান্ডা লাগা,হাত-পা অবশ হয়ে আসা,বমিবমি ভাব। ইত্যাদি।
প্রতিক্রিয়া যেমনই হোক চক্ষু বন্ধ রেখে মনোযোগ দিয়ে অডিও শেষ পর্যন্ত শুনবেন। প্রতিদিন কি কি প্রতিক্রিয়া হল তা নোট রাখবেন।
এভাবে নিয়মিত ৭ দিন অডিও শোনার পর কোন কোন দিন কি কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা এই পোস্টে লিখে দিয়ে পরবর্তী পরামর্শ গ্রহণ করবেন। 
যদি কোন প্রতিক্রিয়া নাও হয় তারপরও আপনি আক্রান্ত থাকতে পারেন তাই অডিও টেস্ট এর উপরে নির্ভর না করে আপনি একজন রাকির সাথে পরামর্শ করে ও রুকইয়াহ করে সমস্যা কনফার্ম হয়ে চিকিতসা নিন।

📲 আমাদের নিকট এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার নিয়মঃ

এপয়েন্টমেন্টঃ এর জন্য কল করুন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে নিচের নম্বরে।

01833-406-632

01763-951-371

📍 সেন্টারের লোকেশন: রুপনগর আবাসিক, মিরপুর ২, ঢাকা

⚠️বিঃ দ্রঃ ঢাকা সিটির বাইরের পেশেন্টগণ ও এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যারা ইতিপূর্বে আসেননি বা ক্যানসেল করেননি! তাহারা ১হাজার টাকা এডভান্স (অগ্রীম) পাঠিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে কল দিবেন।

আমাদের

❇️ টেলিগ্রাম চ্যানেল: https://t.me/quranictreatmentbd

❇️ফেসবুক পেইজ ১ : https://www.facebook.com/QuranicTreatmentBD/

❇️ ইউটিউব চ্যানেল: ১ https://youtube.com/@QuranicTreatmentBD/

❇️ফেসবুক পেইজ ২ https://www.facebook.com/raqigazimdtanjil/

❇️ ইউটিউব চ্যানেল: ২ https://youtube.com/@raqigazimdtanjil/

❇️ রুকইয়াহ/হিজামা ট্রেনিং গ্রুপ: https://www.facebook.com/groups/833450798461695/

❇️ পেশেন্টদের রিভিউ গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/623845769646953/ 

❇️ ফ্রি সাজেশন গ্রুপ https://www.facebook.com/groups/QuranicTreatmentBD/ 

❇️ ঘরে নিজে (সেল্ফ রুকইয়াহ) করার গাইডলাইন

https://quranictreatmentbd.com/primaryselfruqyahsuggestion/

.
যারা কুরআন-হাদিস অনুযায়ী শরীয়াহ (শরীয়ত) এই চিকিৎসা জানে না তাদের কাছে আমাদের লিংকগুলো শেয়ার করে পৌছে দিন ইন শা আল্লাহ।
.
আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে যদি কেউ উপকৃত হয় তাহলে আপনিও এর জন্য সওয়াবের ভাগিদার হবেন ইনশ-আল্লাহ।

✴️ গাজী মুহাম্মাদ তানজিল
রাক্বী ও হিজামা থেরাপীস্ট (এডমিন)

#রুকইয়া #হিজামা #hijama #ruqyah #ruqyahbd #hijamabd #raqi #রাকী #থেরাপীস্ট #ruqyahsyariyyah #ruqyahsyariah #Ruqayyah